জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়। নিজস্ব চিত্র।
গত পাঁচ বছর ধরে এলাকার রাস্তাটির সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ। জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায় এলাকায় ভোট প্রচারে গেলেও সেই রাস্তাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি নজরে পড়ে স্থানীয় কয়েকজন মহিলার। তাঁরা প্রার্থীকে ডেকে নিয়ে যান এবং রাস্তা সংস্কারের দাবিতে জয়ন্তের সামনে সরব হন। রবিবার শিলিগুড়ি পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে নৌকাঘাট সংলগ্ন এলাকার ঘটনা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনশো মিটার রাস্তায় পিচ উঠে কাটা পাথর বেরিয়েছে। যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়ছেন বাসিন্দারা। ওই এলাকা থেকে গত লোকসভা ভোটের সময়ও জয়ন্ত বেশ কিছু ভোটে ‘লিড’ পেয়েছিলেন। অভিযোগ, তার পর থেকে এলাকায় আর দেখা যায়নি। প্রায় পাঁচ বছর পরে ভোট প্রচারে জয়ন্তকে পেয়ে সে কথা বলতে ছাড়েননি বাসিন্দা শম্পা দাস। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি প্রার্থী ভোটের পরে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু সে আর নতুন কথা কিসের। ভোট ফুরোলে তো কারও দেখা পাওয়া যায় না।’’
যে প্রার্থীই প্রচারে যাবেন সেই রাস্তা সংস্কারের দাবিতে তাঁরা সরব হবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রার্থী জয়ন্তের বক্তব্য, ‘‘তৃণমূলের ওয়ার্ড। ছোট রাস্তা সংস্কার পুরসভার তৃণমূল বোর্ডেরই করার কথা। ক্ষমতায় এলে আমরা করে দেব।’’ এ দিন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির কয়েকটি এলাকায় প্রচার সেরেছেন জয়ন্ত। জয়ন্তের সঙ্গে বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় থাকলেও ভিড় কম নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরে। বাম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণকেও ইস্টার্ন বাইপাস এলাকায় প্রচার করতে দেখা গিয়েছে।
তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামা সকাল থেকে দিনভর প্রচার করেছেন। মহকুমার খড়িবাড়িতে কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন, মিছিল হয়। বিন্নাগুড়িতে বাড়িবাড়ি, ঘোষপুকুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক, বিধাননগর, গোয়ালটুলি হয়ে, জালাসের কালারামে জনসভা করেন তিনি। বিভিন্ন সময় গোপালের সঙ্গে ছিলেন দার্জিলিং সমতলের তৃণমূলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। শিলিগুড়ি মেয়র গৌতম দেবও এ দিন পুর এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রচার করেন। পাপিয়ার বক্তব্য, ‘‘সর্বত্র ব্যাপক সাড়া মিলছে।’’
প্রার্থী ঘোষণার পরে এদিন প্রথম প্রচারে বার হন বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। নকশালবাড়িতে গৃহ সম্পর্ক অভিযান, মিছিল করেন। খড়িবাড়িতে হুড খোলা গাড়িতে রোড শো, দলীয় বৈঠক করেছেন। নকশালবাড়িতে রাজুর সঙ্গে কয়েকটি জায়গায় ছিলেন বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ এবং
দুর্গা মুর্মু। দলের বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতাদের ডাকা হলেও তাঁদের অনেকেই এ দিনের প্রচারে ছিলেন না। সেখানেও আশানুরূপ সমাগম হয়নি বলে দলের একাংশের অভিযোগ। জেলা বিজেপির সভাপতি অরুণ মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘সবাইকে প্রচারে ডাকা হচ্ছে। কোনও কারণে দু একজনের না থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy