—প্রতীকী চিত্র।
বিরোধীরা মাঠে নামার আগেই গত রবিবার ব্রিগেডের ‘জনগর্জন সভা’ থেকে উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পর থেকে তিন দিন পার। বুধবারেও উলুবেড়িয়ায় দলের তরফ থেকে সে ভাবে নির্বাচনী তৎপরতা চোখে পড়েনি সাধারণ মানুষের। বিক্ষিপ্ত কিছু জায়গায় প্রার্থীর নামে দেওয়াল লিখন চললেও কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সেই উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি।
এ বারে জিতলে এই কেন্দ্র থেকে জয়ের হ্যাটট্রিক করবেন তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ। তিনি প্রয়াত সুলতান আহমেদের স্ত্রী। ২০১৭ সালের উপনির্বাচনে তো বটেই, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও দল যখন তাঁকে প্রার্থী করেছিল, উচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছিলেন এখানকার বহু দলীয় কর্মী-সমর্থক। এ বারে এখনও সেই ছবি দেখা যাচ্ছে না। তিনি কবে আসবেন, তা নিয়েও কর্মী-সমর্থকেরা ধন্দে।
সাজদা অবশ্য বলেন, ‘‘প্রচার নির্ঘণ্ট ঠিক করবে দল। এমনিতে আমি নিয়মিত উলুবেড়িয়ায় যাই। কিন্তু প্রার্থী হিসাবে দল যে দিন বলবে, সে দিনই উলুবেড়িয়ায় যাব। নির্বাচন পরিচালনাও করবে দল।’’ দলের গ্রামীণ জেলা সভাপতি অরুণাভ সেন বলেন, ‘‘শীঘ্রই এ সংক্রান্ত বৈঠক ডাকা হবে। তাতে প্রার্থীও থাকবেন। তারপর থেকেই নিয়মিত কর্মসূচি চলবে। বিরোধীদের এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়া হবে না।’’
উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্র লাগোয়া বিধানসভা কেন্দ্র হাওড়ারই জগৎবল্লভপুর। এই কেন্দ্র পড়ে শ্রীরামপুর লোকসভার মধ্যে। শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। জগৎবল্লভপুরে তিনি সভা করেছেন মঙ্গলবার। কিন্তু সাজদার নিজের তরফ থেকে প্রচারে উদাসীনতা লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের অভিযোগ। তাঁদের বক্তব্য, প্রার্থিপদ ঘোষণার পর থেকে তিনি এলাকায় আসেননি। কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। নির্বাচন নিয়ে প্রাথমিক কোনও আলোচনাও করেননি।
দলের একটি সূত্রের অবশ্য খবর, সাজদার সঙ্গে এলাকার মানুষের তেমন যোগাযোগ ছিল না। তাই নেতা-কর্মীদের একাংশ বা সাধারণ মানুষের মধ্যে তাঁকে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ততার অভাব রয়েছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখার অভিযোগ মানেননি সাজদা। অরুণাভর দাবি, কর্মীরা মাঠে নামলেই দামামা বাজবে। স্বতঃস্ফূর্ততা না থাকার ব্যাপার নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy