গাজ়িয়াবাদে ভোটের লাইনে ভোটারেরা। ছবি: পিটিআই।
বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দেশের ১৩টি রাজ্যের মধ্যে মণিপুর, ছত্তীসগঢ়, পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং ত্রিপুরায় ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। অন্য দিকে, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্রে ভোটদানের হার সবচেয়ে কম, সেখানে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৫২.৬ শতাংশ, ৫৩ শতাংশ এবং ৫৩.৫ শতাংশ।
দুপুর ৩টে পর্যন্ত ভোটদানের হারে দেশের ১৩টি রাজ্যের মধ্যে প্রথমে ত্রিপুরা। কমিশন সূত্রে খবর, ওই রাজ্যে ভোট পড়েছে ৬৮.৯ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে উত্তরপ্রদেশ। সেখানে ভোট পড়ল ৪৪.১ শতাংশ।
দেশের প্রায় বেশির ভাগ জায়গাতেই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অত্যাধিক গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। এই গরম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশনও। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অত্যধিক গরমের কারণে তিন জন ভোটার এবং এক জন পোলিং এজেন্টের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, কেরলের সব লোকসভা আসনেই ভোটগ্রহণ হচ্ছে শুক্রবার।
১৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে দ্বিতীয় দফায় ভোটদানের হারে এগিয়ে ত্রিপুরা। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে এই রাজ্যেই। কমিশন সূত্রে খবর, দুপুর ১টা পর্যন্ত ত্রিপুরাতে ভোটদানের হার ৫৪.৫ শতাংশ। সামান্য পিছিয়ে মণিপুর। আউটার মণিপুরের কয়েকটি জায়গায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে শুক্রবার। সেখানে ভোট পড়েছে ৫৪.৫ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে মহারাষ্ট্রে (৩১.৮ শতাংশ)। গোটা দেশের ভোট পড়েছে ৩৯.১ শতাংশ।
শুক্রবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কর্নাটকের বিজেপি প্রার্থী কে সুধাকরের বিরুদ্ধে ঘুষ দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কর্নাটকের মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার জানিয়েছেন, চিক্কাবল্লাপুরে ‘ফ্লাইং স্কোয়াডস টিম’ বা এফএসটি চার কোটি ৮০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে সুধাকরের কাছ থেকে।
উত্তরপ্রদেশের দিখৌলী গ্রামে শুক্রবার ভোটগ্রহণ চলছে। ওই গ্রামে ৭৫ জন ভোটার রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ওই গ্রামে ভোট পড়েছে মাত্র পাঁচ শতাংশ। কেন এত কম ভোট পড়ল? গ্রামবাসীদের কথায়, ভোটদানে উৎসাহ নেই বেশির ভাগ গ্রামের মানুষের। অনেকেই আবার কৃষিকাজে ব্যস্ত।
অন্যান্য ভোটারের মতোই লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। নতুন ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করলেন ইসরোর প্রাক্তন বিজ্ঞানী নম্বি নারায়ণ। তিনি বলেন, ‘‘তুমি কাকে পছন্দ করো বা না করো, তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ তোমার ভোটদান।’’
দ্বিতীয় দফার ভোটে উত্তেজনা ছড়াল মেঙ্গালুরুতে। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি কর্মীরা। পদ্মশিবিরের অভিযোগ, দক্ষিণ কন্নড়ের কংগ্রেস প্রার্থী পদ্মরাজ বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। যা নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী। বিষয়টি পুলিশকে জানান বিজেপি কর্মীরা। তার পরই দু’পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়।
জেডিএস নেতা তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া কর্নাটকের হাসান লোকসভা আসনে ভোট দিলেন। দলীয় কর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ধরাধরি করে বুথে নিয়ে যান।
কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে ভোট দিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়। তিনি ছাড়াও ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অনিল কুম্বলে।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন। শামরাজনগর লোকসভা কেন্দ্রে হুন্ডি গ্রামে ভোট দিলেন তিনি।
কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে এ বার কংগ্রেসের প্রার্থী শশী তারুর। এই কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। শুক্রবার সকালে নিজের কেন্দ্রে ভোট দিলেন শশী।
শুক্রবার সকালেই সস্ত্রীক ভোট দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কেরলের তিরুঅনন্তপুরম লোকসভা কেন্দ্রের একটি বুথে গিয়ে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন তিনি।
কেরলের কন্নুর লোকসভা কেন্দ্রের ১৬১ নম্বর বুথে ভোট দিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
ভোটগ্রহণ চলছে দেশের ৮৮ আসনে। দু’ঘণ্টা ভোটগ্রহণ পর্ব অতিক্রান্ত। তবে ইতিমধ্যেই দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় ইভিএম খারাপের অভিযোগ উঠছে। ভোটারদের কথায়, ইভিএম খারাপ থাকার কারণে ভোটগ্রহণ শুরুই হয়নি। কর্নাটকের টুমাকুরু, উত্তরপ্রদেশের আমরোহায় থেকেই ইভিএম খারাপের অভিযোগ বেশি উঠেছে। অন্য দিকে, কেরলের ওয়েনাড়ে দলীয় বুথ অফিস ভাঙার অভিযোগ তুলল বিজেপি। এই কেন্দ্র থেকে লড়ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
পরনে বিয়ের শেরওয়ানি, মাথায় পাগড়ি। পুরোদস্তুর বিয়ের সাজে ভোট দিতে বুথে পৌঁছলেন এক যুবক। মহারাষ্ট্রের অমরাবতী লোকসভা কেন্দ্রের এক বুথে এমনই ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার সকাল সকালই ভোট দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। বেঙ্গালুরুর বিইএস ভোটকেন্দ্রে নিজের বাবাকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে আসেন তিনি। অন্য দিকে, পদ্মনেত্রী তথা রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জানান, এ বারও বিজেপিই জিতবে।
দ্বিতীয় দফার ৮৮ আসনের মধ্যে কেরলের ওয়েনাড়েও শুক্রবার ভোটগ্রহণ রয়েছে। সেই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ রাহুল গান্ধী দেশের প্রতিটি মানুষকে ‘সংবিধানের সৈনিক’ হয়ে গণতন্ত্র রক্ষা করার আর্জি জানালেন। কংগ্রেস নেতা এ-ও বলেন, ‘‘পরবর্তী সরকার ‘কয়েক জন ধনকুবেরদের’ হবে, না কি ‘১৪০ কোটি ভারতীয়দের’, তা ঠিক করবে আপনার ভোটই।’’
শুক্রবার সকাল সকালই ভোট দিলেন ইনফোসিস-কর্তা নারায়ণ মূর্তি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুধা মূর্তিও। ভোট দিয়ে এসে তাঁরা সকলকে গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সময়ই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছিলেন, সুষ্ঠু ভাবে হিংসামুক্ত নির্বাচন করানোই লক্ষ্য কমিশনের। শুক্রবার রাজীব জানান, এখনও পর্যন্ত অশান্তির কোনও খবর নেই। ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আহ্বানও জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy