প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্বুমণি রামডস। ছবি ইনস্টাগ্রাম।
লোকসভা ভোটের আগে তামিলনাড়ুতে ধাক্কা খেল সে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল এডিএমকে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্বুমণি রামডসের দল পট্টালি মাক্কাল কাচ্চি (পিএমকে) যোগ দিল এনডিএ-তে। দলের কর্মসমিতির বৈঠকের পরে সাধারণ সম্পাদক ভেদিভেল রাভাণন সোমবার রাতে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটে আমরা বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডির-র শরিক হিসাবে লড়ব। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে দু’দলের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।’’
১৯৮৯ সালে পিএমকে-র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ভান্নিয়ার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর নেতা এস রামডস। শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে ভান্নিয়ার সংরক্ষণের দাবিতে সেই সময় আন্দোলনে নেমেছিলেন তিনি। যার জেরে তামিলনাড়ুতে ভান্নিয়ারদের জন্য পৃথক সংরক্ষণ চালু হয়েছিল। এই আন্দোলনই উত্তর এবং তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জেলায় পিএমকের জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছিল পিএমকের।
১৯৯৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন নির্বাচনের ফল বলছে, তামিলনাড়ুর মোট ভোটের ৫-৭ শতাংশ ঢোকে পিএমকের ঝুলিতে। এস রামডসের ছেলে অন্বুমণি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে পিএমকে-কে সঙ্গে নিয়েই ভোটযুদ্ধে নেমেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। তাতে সাফল্যও এসেছিল। দ্রাবিড় রাজনীতির দুই প্রধান দল ডিএমকে এবং এডিএমকের প্রার্থীদের হারিয়ে ধর্মপুরী লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন অন্বুমণি।
কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়নি তাঁকে। সেই নিয়ে দুই দলের মধ্যে মন কষাকষি চলছিল। ২০২১ সালে তামিলনাড়ুর বিধানসভা ভোটে এডিএমকে এবং বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ২৩টি আসনে লড়েছিল পিএমকে। জিতেছিল পাঁচটিতে। গত বছর এডিএমকে প্রধান তথা তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পলানীস্বামী এনডিএ জোট ছাড়ার কথা ঘোষণা করার সময় তাঁর পাশে ছিলেন অন্বুমণি। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে শিবির বদলালেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy