Advertisement
Back to
Lok Sabha Election 2024

দিল্লির বুকেও মোদীর মুখে সেই মেরুকরণই

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়েও আজ প্রচারে সরব হয়েছেন মোদী। নাগরিকের শংসাপত্র পাওয়া কয়েকটি পরিবার উপস্থিত ছিল মঞ্চে।

Narendra Modi

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৪ ০৮:৪০
Share: Save:

রাজধানীর সাত আসনের জন্য প্রচার— তাই আজকের জনসভায় বক্তৃতা বিকাশ, উন্নয়ন, পরিকাঠামো নির্মাণের খতিয়ান দিয়েই শুরু করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঝাঁঝালো মেরুকরণের রাস্তাতেই ফিরতে দেখা গেল তাঁকে। একই শহরে তাঁর জনসভা থেকে সামান্য দূরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী যখন বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি এবং ‘মহব্বত কা দুকান’-এর কথা বলছেন, মোদী মুসলিমদের হাতে দিল্লির ১২৩টি সম্পত্তি তুলে দেওয়ার অভিযোগে বিঁধছেন কংগ্রেসকে। সব মিলিয়ে রাজধানীতে ভোটের ঢাকে আজ হাই ভোল্টেজ কাঠি পড়ল বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

মোদীর দাবি, ‘‘কংগ্রেসের মনে চব্বিশ ঘণ্টা শুধু ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির কথা ঘোরে। তাই বিকাশের কোনও ধ্যানধারণাই তাদের নেই। শুধুই তোষণ। তাদের ইস্তাহার দেখে মনে হয় মুসলিম লিগের জন্য করা। সেখানে লেখা আছে, কংগ্রেস সরকারি টেন্ডার ধর্মের ভিত্তিতে দিতে চায়, বাজেট করতে চায় ধর্মের ভিত্তিতে। আপনাদের সম্পত্তি এক্স-রে করে তার অর্ধেক নিজেদের ভোটব্যাঙ্ককে দেবে বলেও জানিয়েছে।’’ এর পরই তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘২০১৪ সালে রিমোটচালিত মনমোহন সরকার এবং তার আসল নেত্রী সনিয়া গান্ধী ভোট পাওয়ার লোভে, যারা ভোট জিহাদ করে, তাদের সঙ্গে সওদা করেন। তাদের ভোট পাওয়ার বিনিময়ে দিল্লির ১২৩টি অতি মূল্যবান সম্পত্তি রাতারাতি ওয়াকফ বোর্ডের হাতে তুলে দেন। দিল্লির মানুষ কি এই কাজ বরদাস্ত করবেন? এরা তোষণের জন্য দেশে হিংসা ছড়াতে পারে।’’

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়েও আজ প্রচারে সরব হয়েছেন মোদী। নাগরিকের শংসাপত্র পাওয়া কয়েকটি পরিবার উপস্থিত ছিল মঞ্চে। তাদের সামনেই দলিত তাস খেলে মোদী বলেছেন, ‘‘প্রথম যখন সিএএ সংসদে আসে, কংগ্রেস দাঙ্গা করায়, রাস্তা বন্ধ করে দেয়। পরে এদের মিথ্যার পর্দা ফাঁস হয়। হিন্দু, শিখ পার্সি, জৈনরা নাগরিকত্ব পাবেন, এটা কংগ্রেস চায় না। কারণ যাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন, তাঁরা বেশির ভাগই দলিত। এ বারের ভোট সেই অশুভ শক্তির থেকে রক্ষা পাওয়ার ভোট, যারা আপনার সম্পত্তি কেড়ে নিতে চায়।’’ বারবার পরিবারবাদকে নিশানা করে মোদীর বক্তব্য, তাঁর কোনও ওয়ারিশ নেই। দেশের ১৪০ কোটি জনতাই তাঁর ওয়ারিশ।

আজ দিল্লি সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছনোর আগে হরিয়ানার অম্বালা এবং সোনেপতে জনসভা করেছেন মোদী, যেখানে কৃষক বিক্ষোভ তুঙ্গে। সেখানে তাঁর বক্তৃতায় যথারীতি হিন্দু-মুসলিমের থেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে কৃষকদের জন্য তাঁর সরকারের উদ্যোগ এবং ভবিষ্যৎ কর্মসূচি। তথ্য ও পরিসংখ্যান হাজির করে মোদী দেখাতে চেয়েছেন, কংগ্রেস নয়, তিনিই আসল কৃষক-বন্ধু। মোদীর কথায়, ‘‘২০১৪ সালের আগে কংগ্রেস দেশের কৃষকদের থেকে মোট সাড়ে সাত লাখ টাকার শস্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কিনেছিল। মোদী সরকার আসার পর এই দশ বছরে কেনা হয়েছে ২০ লাখ কোটি টাকার আনাজ। অর্থাৎ তিন গুণ। আজ যাঁরা জনসভায় এসেছেন তাঁরা ফিরে গিয়ে কৃষকদের এ কথা জানান। আগে তাঁদের প্রাপ্য অর্থ পেতে অনেক সময় লাগত। এখন সোজা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যায়। আখ চাষিদের কংগ্রেস ধোঁকা দিয়েছিল। আমরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়িয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE