প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
উত্তরবঙ্গ সফরে তিনি গত মাসেই এসেছিলেন। শিলিগুড়ির এক জনসভায়। তখনও ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি। কিন্তু সে দিন থেকেই উত্তরবঙ্গে ভোটের প্রচারের কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার ঠিক এক মাসের মধ্যে আবার উত্তরবঙ্গে আসছেন মোদী। এ বার কোচবিহারে। বৃহস্পতিবার এই লোকসভা কেন্দ্রে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবারই কোচবিহারের মাথাভাঙায় সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রীর সভা শুরু হওয়ার কথা বিকেল পৌনে ৪টে নাগাদ। কোচবিহারে আসার আগে সকালেই ওই জেলার বাসিন্দাদের উদ্দেশে বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কোচবিহারে আসার জন্য তিনি মুখিয়ে রয়েছেন। সেখানকার জনসাধারণের সঙ্গে দেখা করার জন্য, তাঁদের মাঝে আসার জন্য তিনি উদ্গ্রীব। এই বার্তা দিয়েছেন মোদী।
নিজের এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “আমি কোচবিহারের জনসাধারণের মাঝে আসার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে আছি। কোচবিহারের মানুষ আমাদের উন্নয়ন এবং কর্মসূচিকে বিরাট ভাবে সমর্থন করছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ওঁরা আবার বিজেপির প্রতি আস্থা বজায় রাখবেন।” উত্তরবঙ্গের তিন কেন্দ্রে প্রথম দফায় ভোট। ১৯ এপ্রিল। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির পাশাপাশি কোচবিহারেও ভোট হবে এই দফায়। কোচবিহারে বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। তাঁর সমর্থনে জনসভা করবেন মোদী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের ভোটপ্রচার শুরু করেছেন কোচবিহার থেকে। এই জেলার মাথাভাঙায় সভা রয়েছে তাঁর। ঘটনাচক্রে, উত্তরবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী ভোটপ্রচারের সূচনা করছেন এই কোচবিহার থেকেই। কৃষ্ণনগরের সভায় যে ভাবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা, মাথাভাঙার সভাতেও সেই একই অভিযোগ শোনা গেল তাঁর কণ্ঠে। ১০০ দিনের কাজ, আবাস নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন তিনি।
মমতা নাম না করে বললেন, “দেখবেন এখানে এসে কত কান্না কাঁদবে সব। ওদের জিজ্ঞাসা করবেন যে, ১১ লক্ষ আবাসের তালিকা পাঠানো হয়েছিল, তার কী হল? ১০০ দিনের টাকার কী হল?” মমতার আক্রমণের পাল্টা কোনও জবাব দেন কি না প্রধানমন্ত্রী, তা অবশ্য সময়ই বলবে।
গত ৯ মার্চ শিলিগুড়িতে সভা করে গিয়েছেন মোদী। সেই সভা থেকে তিনি উত্তরবঙ্গের সব বুথে পদ্মফুল ফোটাতে হবে। একশো দিনের কাজ নিয়ে তৃণমূল সরকারের আক্রমণের জবাবে পাল্টা বলেছিলেন, “১০০ দিনের কাজের টাকা দিল্লি থেকে পাঠানো হয়। কিন্তু তৃণমূল সরকার তোলাবাজদের পয়সা দেওয়ার জন্য ভুয়ো জবকার্ড বানিয়ে রেখেছে।”
ঘটনাচক্রে, মোদীর সভার কিছু আগে মাথাভাঙার সভা থেকে সেই ১০০ দিনের কাজ নিয়েই আবার বিজেপি এবং কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন মমতা। এই আক্রমণ নিয়ে মোদী কি মুখ খুলবেন, তা সময়ই বলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy