ভোট ঘোষণা হওয়ায় নির্বাচনী বিধিনিষেধ চালু হয়েছে। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি টাঙিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভায় ‘মেয়রকে বলো’ কর্মসূচি নিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুললেন বিরোধীরা। ওই কর্মসূচির ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) সমাজমাধ্যমে প্রচারও হচ্ছে। শনিবার শিলিগুড়ি পুরসভায় ওই কর্মসূচিতে মেয়র গৌতম দেবের সঙ্গে পুরসভার একাধিক আধিকারিকও ছিলেন। তাঁদেরও নজর এড়িয়ে গেল কী ভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে, খেয়াল হওয়ায় অনুষ্ঠানের মাঝ পথে খুলে ফেলা হয় মুখ্যমন্ত্রীর ছবি। পুর কমিশনার, মেয়রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পুরসভার বিরোধী দলের পুর প্রতিনিধিরাও। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে জানান।
মেয়র বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ছবি থাকায় কী সমস্যা জানা নেই। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তাতে অসুবিধার কথা নয়। নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেই কর্মসূচি করছি। কোথাও নিয়মভঙ্গ হয়নি।’’ তা হলে কর্মসূচি চলাকালীন মাঝপথে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সরানো হল কেন? মেয়রের জবাব, ‘‘ছবি কখন সরানো হয়েছে, জানা নেই।’’ বিরোধীদের অভিযোগ, মেয়র সমাজমাধ্যমে তাঁর কর্মসূচির ভিডিও ‘পোস্ট’ করেছেন। সেখানেই দেখা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি লাগানো রয়েছে। ভোটের সময় সরকারি কর্মসূচিতে নেতা-মন্ত্রীদের ছবি লাগানো বিধিভঙ্গের শামিল।
বিষয়টি পুরসভার আধিকারিকদের দেখার কথা। পুর কমিশনার শেরিং ইয়াংদেন ভুটিয়া বলেন, ‘‘আমরা নির্বাচনী বিধির জেরে, পুরসভায় ঢোকার সময় মুখ্যমন্ত্রীর যে সমস্ত মুখের ছবি রয়েছে তা ঢেকে দিয়েছি। অন্যান্য জায়গায় যেখানে রয়েছে সেগুলোও ঢাকা হয়েছে। এ দিনের কর্মসূচি যেখানে হয়েছে, সেখানে কোনও কারণে ঢাকা হয়নি। বাদ রয়ে গিয়েছিল। এ দিন কর্মসূচিতে আমি ছিলাম না। তবে সেখানে থাকা আধিকারিকদের নজরে আসার পরে তা খুলে সরানো হয়েছে।’’
বিরোধী দলনেতা বিজেপির অমিত জৈন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ছবি থাকায় নির্বাচনী বিধিভঙ্গ তো হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানাব।’’ কংগ্রেসের শিলিগুড়ি পুরসভার পরিষদীয় নেতা তথা একমাত্র কাউন্সিলর সুজয় ঘটক বলেন, ‘‘মেয়র এতদিনের পুরনো অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। সব বোঝেন আর এটা যে বিধিভঙ্গ, বুঝতে পারছেন না! পুর কমিশনারের তরফেও দেখা উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy