—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নির্বাচনের আগেই আজ, শুক্রবার বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় আসতে চলেছে তিন কোম্পানি করে আধাসেনা। আগামী ৭ মার্চ আরও এক কোম্পানি করে আধাসেনার আসার কথা। সে জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জেলায়। এ দিকে বাহিনীকে বসিয়ে না রেখে সন্ত্রাসকবলিত এলাকায় টহলে পাঠানোর দাবি তুলেছে বিরোধীরা।
বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বুধবার বলেন, “মোট চার কোম্পানি আধাসেনা জেলায় আসতে চলেছে। যার মধ্যে দু’টি কোম্পানির তথ্য পেয়েছি। বাকিগুলির তথ্য এখনও পাইনি। তাদের কোথায় রাখা হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।”
সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরেই জেলা পুলিশ কর্তাদের মধ্যে আধাসেনাদের রাখার ব্যবস্থা নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। পরে জেলাশাসক সিয়াদ এন ও পুলিশ সুপারের মধ্যেও একটি বৈঠক হয়।
পুলিশের বিশেষ সূত্রে খবর, ভোটের সময়ে জেলায় আসা আধাসেনাদের সাধারণ স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। তবে জেলার কোন কোন থানা এলাকায় কোথায় আধা সেনাদের রাখা হবে, তা ইতিমধ্যে চিহ্নিত হয়ে গেলেও সেখানে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো এখনও গড়ে তোলা যায়নি। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য স্কুলগুলিতে কাজ করা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে জেলায় প্রথম দু’দফায় আসতে চলা চার কোম্পানি আধাসেনাদের কোথায় রাখা হবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
পুলিশের একটি বিশেষ সূত্রে খবর, প্রথম দফায় যে তিন কোম্পানি জেলায় আসার কথা, তার মধ্যে দু’টি কোম্পানি (সিআইএসএফ) মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত। ফলে তাদের আপাতত সেখানেই রেখে এলাকা টহলদারির কাজ শুরু করা যেতে পারে।
এ দিকে, আধাসেনা জেলায় আসার পরেই যাতে রাজনৈতিক সন্ত্রাসকবলিত এলাকায় টহলদারির কাজ শুরু করানো হয়, সেই দাবি তুলছে বিরোধীরা। সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি বলেন, “অন্যবার নির্বাচনের আগেই দলগুলির কাছে রাজনৈতিক সন্ত্রাসকবলিত এলাকার তথ্য চাওয়া হয়। এ বার এখনও তা চাওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনী জেলায় এলে যাতে বসিয়ে না রাখা হয়, সেদিকে নজর দিক নির্বাচন কমিশন।”
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখার কথায়, ‘‘বিষ্ণুপুর মহকুমার জয়পুর, পাত্রসায়র, কোতুলপুর, ইন্দাস, সোনামুখীর মতো ব্লকগুলির সিংহ ভাগ আসনেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেননি। ওই সব এলাকায় আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল শুরু করা দরকার।’’ তিনি জানান, জেলার সন্ত্রাসকবলিত এলাকাগুলির তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে রয়েছে। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বেশিরভাগ এলাকাতেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ইতিহাস রয়েছে। তাঁর সংযোজন, ‘‘আমরা সন্ত্রাসকবলিত এলাকার তালিকা তৈরি করছি। শীঘ্রই তা জেলাশাসকের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠাব।”
তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বাগত। নানা জায়গায় বিজেপি সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা শুরু করেছে। ওই এলাকায় বাহিনীদের পাঠানোর দাবি আমি তুলছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy