কংগ্রেসে যোগ দিলেন লক্ষ্মণ শেঠের স্ত্রী মানসী দে। বিধান ভবনে। — নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে আসন সমঝোতার বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে কোনও স্থির সিদ্ধান্ত এখনও জানানো হয়নি। সেই কারণেই বামেদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা এখনও শুরু করা যাচ্ছে না বলে ফের জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের আগে মূল্যবান সময় অপচয় হচ্ছে বলে উদ্বেগ বাড়ছে বাম শিবিরে। সিপিএম ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা তৈরি রাখার কাজ শুরু করে দিয়েছে। তবে কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে আলোচনার আগে সিপিএম নেতৃত্ব প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে চাইছেন না।
দু’দিন আগেই কলকাতায় প্রদেশ নির্বাচন কমিটির বৈঠকে এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর ও সহ-পর্যবেক্ষক বি পি সিংহের উপস্থিতিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর আর্জি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে জোটের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানানো হোক। প্রদেশ কংগ্রেসের দফতর বিধান ভবনে মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত প্রশ্নে অধীর ফের বলেছেন, ‘‘এটা দিল্লির বিষয়। তারা এখনও স্পষ্ট নির্দেশিকা দেয়নি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই বলতে পারবেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সময়ে গর্ব করে বলেছিলেন, তিনিই ‘ইন্ডিয়া’ জোটের নাম দিয়েছেন। তার পরে কী কী হয়েছে, সবাই দেখেছেন। বিজেপিকে আটকাতে সর্বভারতীয় স্তরে কী হবে, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই সেটা বলতে পারবেন।’’ তবে একই সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি উল্লেখ করেছেন, ‘‘বাংলায় আমরা বিজেপি ও তৃণমূল, দুই দলের বিরুদ্ধেই লড়াই ককে টিকে আছি। এটা আর নতুন করে বলার কিছু নেই!’’ প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের সঙ্গে যে জোট হচ্ছে না এবং ভোট-পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য দরজা খোলা থাকবে, তা ইতিমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কংগ্রেসের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা না হওয়ায় নির্বাচনী প্রস্তুতি ধাক্কা খাচ্ছে বামেদেরও। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, ‘‘আমাদের প্রার্থী তালিকা অনেকটাই তৈরি। কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই বলে তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে অনন্ত কাল তো অপেক্ষা চলতে পারে না! দোদুল্যমানতা ছেড়ে কংগ্রেসকে স্পষ্ট করে বলতে হবে, বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে তারা একসঙ্গে লড়তে চায় কি না।’’ কংগ্রেসের আসনের হিসেব না পেলে বাম শরিকদের সঙ্গে আসন-ভাগের আলোচনাও সম্পূর্ণ করতে পারছে না সিপিএম।
বিধান ভবনে এসে এ দিনই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ তথা অধুনা প্রদেশ কংগ্রেস নেতা লক্ষণ শেঠের স্ত্রী মানসী দে। পাশাপাশি, হুগলি, কলকাতা-সহ কিছু জায়গা থেকে তৃণমূল ও বিজেপির ছাত্র সংগঠন ছেড়ে একাধিক ছাত্র-ছাত্রী কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদে যোগ দিয়েছেন। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সৌরভ প্রসাদের দাবি, ‘‘অন্য দলের বিভিন্ন সংগঠন ছেড়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ছাত্র পরিষদে যোগ দিচ্ছেন। যা প্রমাণ করে রাজ্যে ছাত্র পরিষদ শক্তিশালী হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy