নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র
হিন্দুদের আক্রমণ করছে তৃণমূল, এমন অভিযোগ তুলে শনিবার খড়্গপুরের সভায় মোদী বলেন, “সন্ন্যাসীদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে দেশ ও দুনিয়া খুব রেগে রয়েছে।”
মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের খড়্গপুরের সভায় মোদী বলেন, “মেদিনীপুর আমাদের শুভেন্দু অধিকারী আর দিলীপ ঘোষের কর্মভূমি।” দুই নেতার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দিলীপকে আমি রাজনীতি করার আগে থেকে চিনি। উনি খুবই পরিশ্রমী। দলের সভাপতি হিসাবে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। শুভেন্দুজি তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।”
তৃণমূল মা-মাটি মানুষের নামে ভাঁওতা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন মোদী। দাবি করলেন, রেশন, ১০০ দিনের কাজ, ‘সব প্রকল্পের টাকা খেয়েছে’ তৃণমূল।
তৃণমূল আর কংগ্রেসকে একই মুদ্রার এ পিঠ-ও পিঠ বলে কটাক্ষ করে শনিবার খড়্গপুরে মোদী বলেন, “দিল্লিতে ইন্ডি জোটে থাকলেও এখানে আলাদা লড়ার নাটক করছে তৃণমূল।”
ভোটব্যাঙ্কের জন্য ‘বিপজ্জনক অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন’ করছে তৃণমূল! খড়্গপুরের সভা থেকে এমনই দাবি প্রধানমন্ত্রী মোদীর। ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করা তৃণমূলকে একটিও ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানান মোদী।
তৃণমূলের বিরোধিতা সত্ত্বেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) চালু হবে বলে খড়্গপুরের সভা থেকে জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “সিএএ চালু হবেই। সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। তৃণমূল দিনরাত মিথ্যা বলছে যে, সিএএ ফর্ম পূরণ করতে পারলে নাগরিকত্ব চলে যাবে। কিন্তু ওদের মিথ্যার পর্দা ফাঁস হয়ে গিয়েছে। সরকার প্রায় ৩০০ জনকে নাগরিকত্ব দিয়েছে। তৃণমূল কান খুলে শুনে রাখো, সিএএ মোদীর গ্যারান্টি।”
অনুপ্রবেশকে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বড় বিপদ বলে চিহ্নিত করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “অনুপ্রবেশ বাংলার জন্য বড় বিপদ। অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ভুয়ো রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড তৈরি করে তৃণমূল।”
তৃণমূল শেখ শাহজাহানদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলে মেদিনীপুরের জনসভা থেকে ফের সন্দেশখালি প্রসঙ্গে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করলেন মোদী।
বাংলায় তৃণমূল আতঙ্কের রাজনীতি করছে বলে মেদিনীপুরের সভা থেকে অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “বাংলায় তৃণমূল আতঙ্ক তৈরি করছে। তৃণমূল গুন্ডাবাহিনী দিয়ে ভোট করাতে চাইছ।”
খড়্গপুরে মোদীর মঞ্চে হাজির মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
ষষ্ঠ দফার ভোট প্রচারে আবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার এবং সোমবার মিলিয়ে বাংলায় মোট ছ’টি সভা করছেন তিনি। ভোট ঘোষণার পর থেকে একাধিক বার বাংলায় এসেছেন মোদী। প্রতি দফাতেই অন্তত এক বার করে ঘুরে গিয়েছেন ভোটের আগের বিভিন্ন কেন্দ্র। দিনে তিন থেকে চারটি করে সভা করছেন। ষষ্ঠ দফায় আগামী ২৫ মে রাজ্যের মোট আটটি কেন্দ্রে ভোট রয়েছে। এর মধ্যে সাতটি কেন্দ্রেই রবি এবং সোমে প্রচার করবেন প্রধানমন্ত্রী। বাকি থাকছে কেবল কাঁথি। সেখানে বিজেপি এ বার প্রার্থী করেছে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে। তাঁর সমর্থনে প্রচারের জন্য মোদী পরে আবার রাজ্যে আসবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মেদিনীপুর কেন্দ্রে বিজেপি এ বার প্রার্থী করেছে অগ্নিমিত্রা পালকে। এই কেন্দ্রে দলের বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে এ বার বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করে পদ্মশিবির। এ বার মেদিনীপুর আসনটি ধরে রাখতে উদ্যোগী বিজেপি। অন্য দিকে, তৃণমূল চায় পুনরায় আসনটি ছিনিয়ে নিতে। রাজ্যের শাসকদল ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়াকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy