Advertisement
Back to
NDA

এনডিএ-র সংসদীয় নেতা নির্বাচিত হয়েই ‘নির্ভরশীল’ নরেন্দ্র মোদীর মুখে জোটধর্মের জয়গান

এনডিএ-র নবনির্বাচিত সাংসদরা শুক্রবার সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে বৈঠক বসেছিলেন। এই বৈঠকেই সর্বসম্মতিক্রমে নরেন্দ্র মোদীকে সংসদীয় দলের নেতা হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে।

(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী, চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং নীতীশ কুমার।

(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী, চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং নীতীশ কুমার। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪ ১২:৩২
Share: Save:

এনডিএ-র নেতা, বিজেপির লোকসভা নেতা হিসাবে নরেন্দ্র মোদীর নাম প্রস্তাব করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সেই প্রস্তাব অনুমোদন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, নিতিন গডকড়ীরা।

এনডিএ-র নবনির্বাচিত সাংসদরা শুক্রবার সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে বৈঠক বসেছিলেন। ওই বৈঠকে রাজনাথ এনডিএ-র নেতা হিসাবে মোদীর নাম প্রস্তাব করেন। শুধু তা-ই নয়, সংসদে বিজেপির নেতা হিসাবেও মোদীর নাম প্রস্তাব করা হয়। এই প্রস্তাবে সায় দিলেন এনডিএ-র শরিক দলের নেতারা।

শুক্রবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডু, জনতা দল ইউনাইটেড দলের নেতা নীতীশ কুমার, শিবসেনা দলের নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, এনসিপির নেতা অজিত পওয়ার, জেডিইউ নেতা এইচডি কুমারস্বামীরা। মোদীর নাম প্রস্তাব করার পর প্রথমেই তা সমর্থন করেন শাহ। তার পর গডকড়ীও সমর্থন জানান।

শাহ-গডকড়ীর পর একে একে কুমারস্বামী, চন্দ্রবাবু, নীতীশ, একনাথ, অজিত, চিরাগ পাসোয়ানরা সমর্থন জানান। তার পরই শরিক দলের সকলের প্রতি ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘এনডিএ দলের নেতা রূপে সর্বসম্মত ভাবে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ২০১৯ সালের পর আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়ায় আমি নিজেকে সৌভাগ্য মনে করি। এটাই আমার কাছে বড় পুঁজি। জোট করে নির্বাচন লড়া এবং সরকার গড়ার ব্যাপারে এত বড় সাফল্য আগে আসেনি।’’

মোদী আরও বলেন, ‘‘সরকার চালানোর জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা আবশ্যক, তবে দেশ চালানোর জন্য সর্বমত জরুরি। নির্বাচনের আগে জোট করে লড়াই করে এনডিএ-র মতো সাফল্য কেউ পায়নি।’’

জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলেই রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে সরকার গঠনের দাবি জানাবেন এনডিএ-র নেতারা। রবিবার নরেন্দ্র মোদী তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন। সেই প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।

বিজেপি এ বার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই সরকার টেকাতে ভরসা করতে হচ্ছে এনডিএ-র শরিকদের উপর। বিজেপি এ বার ২৪০টি আসন পেয়েছে। তার পরই রয়েছে চন্দ্রবাবুর দল। তাদের ঝুলিতে রয়েছে ১৬টি আসন। এ ছাড়াও নীতীশের জেডিইউ বিহারে পেয়েছে ১২টি আসন। এই পরিস্থিতিতে বিহার এবং অন্ধ্রের এই দুই নেতার রাজনৈতিক গতিবিধির উপর নজর রয়েছে সব মহলের। নিজেদের গুরুত্বের কথা বুঝে ইতিমধ্যেই বড় শরিক বিজেপির উপর চাপ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে টিডিপি এবং জেডিইউ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE