মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
সন্ন্যাসীদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের প্রতিবাদে কলকাতায় পথে নামলেন সাধু-সন্তদের একাংশ। ‘বঙ্গীয় সন্ন্যাসী সমাজে’র উদ্যোগে শুক্রবার বাগবাজারে ভগিনী নিবেদিতার বাড়ি থেকে সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি পর্যন্ত ‘সন্ত স্বাভিমান যাত্রা’র ডাক দেওয়া হয়েছিল। মিছিলের পুরো পথ এ দিন গঙ্গা জল দিয়ে ধোওয়া হয়। সেই পথ ধরে হাতে ত্রিশূল, লাঠি ও ধর্মীয় পতাকা নিয়ে খালি পায়ে মিছিল করেন কয়েক হাজার সন্ন্যাসী। মিছিল শেষে বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দেন তাঁরা।
মিছিলের নেতৃত্ব দেন কার্তিক মহারাজ, রাখাল মহারাজ ও অন্যেরা। বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্তিক মহারাজের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গিয়েই রামকৃষ্ণ মিশন, ইসকনকে জড়িয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে কার্তিক এ দিন বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর অধার্মিক আচরণ, হিন্দু-বিরোধী মন্তব্য সন্ন্যাসীদের প্রতি অবমাননার দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। তার প্রতিবাদেই পথে নেমেছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। না চাইলে তাঁর পদত্যাগের দাবি করছি।’’ এই সূত্রে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বলেছেন, ‘‘হিন্দু সন্ন্যাসীদের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমা চাইবেন না। মমতা জানেন, হিন্দুরা একত্রিত হয়ে ভোট দেন না। এটা যদি ইসলাম ধর্ম নিয়ে কিছু হত, তিনি ঠিক ক্ষমা চাইতেন! কেননা মুসলিম ধর্মগুরুদের নির্দেশ মেনে সংখ্যালঘুরা ভোট দেন, এটা মমতা জানেন।’’ পাল্টা তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিকৃতি ঘটিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে কিছু বলেননি। কোনও মানুষ যদি খোলাখুলি ভাবে কোনও দলের পক্ষ নেন বা তেমন কোনও অভিযোগ আসে, তা হলে তো সেই ব্যক্তির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।” কলকাতার পাশাপাশি এ দিন কাকদ্বীপেও বাসন্তী ময়দান থেকে মিছিল করেন স্থানীয় সাধু-সন্তেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy