—প্রতীকী চিত্র।
বরাবরই রাজনৈতিক সংঘর্ষের জন্য মুর্শিদাবাদ পরিচিত। এক সময় এই জেলায় বাম-কংগ্রেসের মধ্যে খুনোখুনি কম হয়নি। তবে ২০১৬ সালের পর থেকে মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের প্রভাব বাড়তে থাকে। যার জেরে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাতে থাকে। বাম-কংগ্রেসের রাজনৈতিক বিরোধ যেমন থিতু হতে থাকে, তেমনই তাঁদের সঙ্গে তৃণমূলের বিরোধ, সংঘর্ষ বাড়তে থাকে। গত লোকসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট না হলেও এ বারের লোকসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা হয়েছে। বহরমপুর ও জঙ্গিপুর আসন পেয়েছে কংগ্রেস, আর মুর্শিদাবাদ আসন পেয়েছে সিপিএম। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূল বাম আমলের অত্যাচারের পুরনো কথা তুলে ধরে প্রচার চালাচ্ছে।
জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, দীর্ঘ বাম জমানায় মুর্শিদাবাদে সিপিএমের হাতে বহু কংগ্রেস কর্মী খুন হন। এখন দলের উপরতলার নেতাদের স্বার্থে কংগ্রেস, সিপিএমের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেছে। বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘এ জেলার বহু কংগ্রেস কর্মী সিপিএমের হাতে অত্যাচারিত হয়েছেন, খুন হয়েছেন। সে সব অত্যাচারিত কংগ্রেস পরিবারের পাশে আমরা আছি। আমরা সে সব কংগ্রেস পরিবারের বাড়িতে যাচ্ছি। সিপিএমের হাতে কংগ্রেসিরা কীভাবে অত্যাচারিত হয়েছেন, সে কথা মনে করাচ্ছি। সরকারের সাফল্যর কথাও তুলে ধরছি।’’ যা শুনে প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘নীতিভ্রষ্ট, সুযোগ সন্ধানী, ধান্দাবাজ তৃণমূলের কথা কেউ শোনে না। অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ সিপিএম বন্ধু অনেক ভাল।’’ তবে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান বলেন, ‘‘আমি মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি ছিলাম। দেখেছি কীভাবে সিপিএমের হাতে কংগ্রেসিরা অত্যাচারিত হয়েছেন। কংগ্রেসের নেতারা সে সব ভুলে যেতে পারেন কিন্তু কংগ্রেস কর্মীরা ভোলেননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy