এই মাঠেই আজ সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।
চার বছর পর আজ, সোমবার বনগাঁ শহরে নির্বাচনী জনসভা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় অভিযান সঙ্ঘের মাঠে সভা হবে। সভামঞ্চের কাছে হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে তৎপরতা বেড়েছে পুলিশের। সভাস্থল খতিয়ে দেখছেন পুলিশ কর্তারা।
মুখ্যমন্ত্রীর এই জনসভাকে ঘিরে লোকসভা ভোটে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া তৃণমূল নেতৃত্ব। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বনগাঁ মহকুমায় তৃণমূলের ভরাডুবির পরে এই প্রথম বনগাঁ মহকুমায় মুখ্যমন্ত্রী সভা করবেন। মহকুমায় তিনি শেষ বার সভা করেছিলেন ২০২১ সালে, বিধানসভা ভোটের আগে। তৃণমূলের খাসতালুক হিসেবে পরিচিত বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে ২০১৯ সালে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। মতুয়া ভক্তদের একটা অংশের সমর্থন পেয়েছিল বিজেপি। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটেও মহকুমার চারটি আসনেই জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা।
এখন শিয়রে লোকসভা ভোট। মুখ্যমন্ত্রীর সভাকে ঘিরে নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিতে চাইছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। মতুয়া ও উদ্বাস্তু মানুষদের ভোট এখানে গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি কেন্দ্র সিএএ-এর (নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন) বিধি কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যে দিন ওই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়, ঠিক তার পর দিনই হাবড়ায় মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভা করতে এসেছিলেন। মতুয়া উদ্বাস্তু মানুষদের সতর্ক করে সে সময়ে তিনি বলেন, ‘‘আবেদন করলে আপনারা নাগরিক থাকা সত্ত্বেও বে-নাগরিক হয়ে যাবেন। অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবেন। বিজেপি আপনাদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার খেলা শুরু করেছে। সিএএ হল এনআরসির সঙ্গে যুক্ত। বিজেপি এখানে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করতে চাইছে। তাই আবেদন করার আগে এক বার নয়, হাজার বার ভাবুন। একটা মানুষেরও অধিকার কেড়ে নিতে দেব না। আপনাদের বাংলা থেকে বিতাড়িত করতে দেব না।’’
তৃণমূল নেতৃত্ব সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বনগাঁর সভা থেকেও মতুয়া উদ্বাস্তু মানুষের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর একই বার্তা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে এখানে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছিল। দলীয় সূত্রে দাবি, এর অন্যতম কারণ, কিছু নেতা কর্মীর জনবিচ্ছিন্ন হওয়া, নেতাদের দাম্ভিকতা ও গোষ্ঠীকোন্দল। মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা জনসংযোগ বাড়িয়েছেন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি মতুয়া ভক্তদের মুখ্যমন্ত্রীর সভায় হাজির করাতে পরিকল্পনা করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় জায়গা বনগাঁ। তিনি এখানকার উন্নয়নে প্রচুর কাজ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী আসা মানে জনজোয়ার, জয়ের ব্যবধান ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাওয়া।’’
মুখ্যমন্ত্রীর সভার বিষয়ে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এক বার কেন, একশো বার সভা করলেও কোনও লাভ হবে না। বনগাঁ লোকসভার মানুষ আর ওঁদের মুখ দেখতে চাইছেন না। ভোটে তা প্রমাণ হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy