বিপ্লব মিত্র। ফাইল চিত্র
গঙ্গারামপুরের দুর্গাবাড়িপাড়ায় সকাল থেকে সাংবাদিকদের ভিড় অপেক্ষা করছিল কখন তৃণমূল প্রার্থী দক্ষিণ দিনাজপুরের বর্ষীয়ান নেতা বিপ্লব মিত্র বাড়ি থেকে বেরোবেন। পাক্কা ৯টায় তিনি নামলেন। একশো মিটার দূরে দুর্গামন্দিরে হেঁটে গেলেন। মন্দিরে প্রণাম করলেন। আরও একশো মিটার হেঁটে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিলেন। বেরিয়ে দাবি করলেন, ‘‘আমি দু'শোভাগ নিশ্চিত যে জিতছি।’’
বাড়ি ফিরে খেয়ে বিপ্লব ছুটলেন তপনের দিকে। তপনে বিপ্লবের হাতে এক কর্মী একগুচ্ছ লিফলেট দেন। সেই লিফলেটে বিপ্লবের ছবি দিয়ে একটা বয়ান ছাপানো হয়েছে। যাতে লেখা, ‘আমার ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছে ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে দাঁড়িয়েছি। আপনারা চাইলে বিজেপিকে ভোট দিতে পারেন’। এমন লিফলেট দেখে বিপ্লবের প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিজেপি এতটা নোংরামি করবে ভাবতে পারিনি। আমি ভোটে দাঁড়িয়েছি, আর আমিই বলছি বিজেপিকে ভোট দিন। এটা সম্ভব?’’ সুকান্ত মজুমদারের ছবি দেওয়া এমন লিফলেট দু’দিন আগে বালুরঘাটে ছড়িয়েছিল, যা নিয়ে বিজেপি কমিশনে অভিযোগও জানিয়েছিল।
বিপ্লব তপনের দুটো বুথ ঘুরে পতিরাম, রামপুর হয়ে যান সুকান্তের ‘খাসতালুক’ বালুরঘাটে৷ সেখানে কর্মীদের কাছে খোঁজ নিলেন ভোট কেমন হচ্ছে। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ঘুরলেও নামলেন না গাড়ি থেকে। সারা দিন ধরে বিপ্লবের সঙ্গী ভাইদের দু’জন গঙ্গারামপুর ও এক জন হরিরামপুরের ভোটের খোঁজখবর নেন। দলের অন্দরে বিপ্লব-বিরোধী শিবিরের দুই নেতা গৌতম দাস ও মৃণাল সরকার কী করছেন, সে দিকে নজর রেখেছিলেন বিপ্লব।
গৌতম বলেন, ‘‘অনেকে দ্বিধায় ছিলেন। তাঁরা ফোন করেছিলেন। আমি বলেছি, দলের প্রার্থীকে জেতাতে হবে।’’ মৃণাল বলেন, ‘‘দলের প্রার্থীর হয়ে সবাই খাটছে। আমাদের প্রার্থী জিতছেন।’’ বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত বলেন, ‘‘গোটা জেলায় ঘুরলাম, মানুষ বলছেন মোদীকেই চাই।" অন্য দিকে বাম-কংগ্রেস জোটের আরএসপি প্রার্থী জয়দেব সিদ্ধান্ত সকালে ভোট দিয়ে কুশমণ্ডির বাইরে যাননি। জয়দেবের দাবি, ‘‘বামেদের ভোট বাড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy