আরামবাগ কেন্দ্রের এসইউসি প্রার্থী সুকান্ত পোড়েলের সমর্থনে দেওয়াল লিখন। আরামবাগের পল্লিশ্রী এলাকায়। নিজস্ব চিত্র
এতদিন বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু দেওয়াল লিখন দেখা যাচ্ছিল। মঙ্গলবার থেকে পথে প্রচারেও নামলেন আরামবাগ কেন্দ্রের এসইউসি প্রার্থী সুকান্ত পোড়েল। এই কেন্দ্রে তাঁর লড়াই তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএমের সঙ্গে।
তিন দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমে জনগণের ‘ভাল সাড়া’ পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন সিঙ্গুরের মধুবাটীর বাসিন্দা, পেশায় গৃহশিক্ষক সুকান্ত। বছর তিপান্নর প্রার্থী বলেন, ‘‘কত ভোট পাব তা নিয়ে বিচলিত নই। ভোটে শামিল হওয়াটাই আমাদের লড়াই। এই লাড়ইয়ে জনগণের ভাল সাড়া মিলবে বলেই আশা।”
এই আশার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলির মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকরি, নারীদের নিরাপত্তা, ফসলের ন্যায্য দাম ইত্যাদি নিয়ে ভাবনা নেই। মানুষের এই ‘অপ্রাপ্তি’র কথা তারা শুনছে না, বলছেও না। খালি প্রতিপক্ষের চুরি-দুর্নীতি, কেলেঙ্কারি নিয়ে মশগুল। একমাত্র এসইউসি-ই জনগণের ওই দাবিগুলিকে নিয়ে সারা বছর আন্দোলন করে যাচ্ছে।
সুকান্তকে নিয়ে কী ভাবছে বাকি দলগুলি?
বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “আমাদের ভোটে কোনও আঁচ পরবে না। বামেদের কিছু ভোট কাটা গেলে বরং আমাদের লাভই হবে।” প্রায় একই রকম ইঙ্গিত দিয়ে তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দীর দাবি, ‘‘যত প্রার্থী বেশি হবে, তত আমাদেরই লাভ।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এসইউসি আমাদের কিছু ভোট কাটতে পারে। এখানে ওরা আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের নিয়ে সংগঠন করেছে।
চেষ্টা করছে সেই ভোট যদি কিছু
পাওয়া যায়।”
পক্ষান্তরে, এসইউসি-র জেলা সম্পাদক সন্তোষ ভট্টাচার্য বলেন, “কারও ভোটই আমরা কাটব না। আমরা আমাদের ভোটটাই পাব। সাধারণ মানুষ আমাদেরই ভোট দেবেন। বছরভর নানা বঞ্চনার দাবি নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে থাকি। নির্বাচনকেও আমরা আন্দোলনের একটা অংশ হিসাবেই মনে করি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy