—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মুর্শিদাবাদে তিনটি লোকসভা কেন্দ্রেই জিতেছে তৃণমূল। এই ফলে খুশি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে কথা তিনি জানিয়েওছেন জেলা নেতাদের। শনিবার দলের জেলা কমিটি ও নব নির্বাচিত সাংসদদের নিয়ে কালীঘাটে দলীয় আলোচনা শেষে এ কথা জানান জঙ্গিপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান। জঙ্গিপুর থেকে জাকির হোসেনও হাজির ছিলেন এ দিনের বৈঠকে। জাকির জঙ্গিপুরের সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান। তাঁর সঙ্গেও এ দিন জঙ্গিপুর বিধানসভা ক্ষেত্রের ভোট পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন খলিলুর। ইউসুফ পাঠানকে মমতা এ দিন ‘জায়ান্ট কিলার’ বলেন বলে সূত্রের খবর।
বৈঠকে নেতাদের কাছে সে ভাবে নির্বাচন নিয়ে জানতে চাওয়া হয়নি এ দিন। জানানো হয়েছে লোকসভায় হার জিত নিয়ে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গড়ছে তৃণমূল। সেখানে ৪২টি কেন্দ্র ধরে ধরেই বিশ্লেষণ থাকবে।
খুব শীঘ্রই সেই কমিটি গড়ে দেবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রাথমিক ভাবে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে দলে থেকেও যারা বিরোধিতা করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যে সে ভাবে কোথাও কোনও আন্দোলনে না থেকেও বিজেপি এত ভোট পেল কী করে সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বৈঠকে। তা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে সব সাংসদকে।
তবে নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে একটি সামগ্রিক রিপোর্ট তৈরি করছে জঙ্গিপুর জেলা সাংগঠনিক তৃণমূল কংগ্রেস। তাতে প্রতিটি বিধানসভা ও অঞ্চল ধরে ধরে নির্বাচনী পর্যালোচনা রিপোর্ট পাঠানো হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও। খলিলুর জানান, তাতে লালগোলা ও জঙ্গিপুরের দলীয় বিপর্যয় নিয়েও চর্চা থাকবে।
উপস্থিত এক নেতার কথায়, এ দিন মূলত আলোচনা হয়েছে সংসদে সাংসদদের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে। উপস্থিতি বাড়াতে বলা হয়েছে সাংসদদের। খলিলুর বলেন, ‘‘সংসদ শুরু হলে দিদি যাবেন দিল্লিতে। সেখানেই গাইড লাইন ঠিক করে দেবেন তিনি, এটাই বলা হয়েছে। এখনই কোনও কর্মসূচি দেওয়া হয়নি জেলাকে। প্রত্যেক নেতাকে ভূমিকা নিতে বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy