যানজটঃ পথ অবরোধ করে টায়ার জালিয়ে বিক্ষোভে সামিল বিজেপি কর্মিরা। যানজটে নাজেহাল শহরবাসী। সোমবার মাটিগাড়ার ঠোক্কর, কলাইবকতরির চতুর্থ মহানন্দা সেতু সংলগ্ন এলাকায় তোলা ছবি। ছবিঃ স্বরূপ সরকার।
দলের বুথ সভাপতি ও চার জন বিজেপি কর্মীর উপরে হামলার অভিযোগে সোমবার বিজেপি ১২ ঘণ্টার মাটিগাড়া বন্ধের ডাক দিয়েছিল। যদিও এই বন্ধে এলাকায় কোনও প্রভাব পড়তে দেখা গেল না। মাটিগাড়ায় সকাল থেকে দোকানপাট, বাজার, স্কুলখোলা ছিল। যদিও বিজেপি দাবি করেছে, বন্ধ সর্বাত্মক ভাবে সফল হয়েছে।
এ দিন দফায় দফায় বেশ কিছু এলাকায় বিজেপির বিক্ষোভ ও পথ অবরোধের জেরে সমস্যায় পড়তে হয়েছে লোকজনকে। খাপরাইল মোড়, মাটিগাড়া বাজার, ঠক্কর ও মাটিগাড়া থানার সামনে পথ অবরোধ করে ও টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা।
সকালে খাপরাইল মোড়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করতেই পুলিশ গিয়ে তুলে দেয় তাঁদের। এর পরে থানার সামনে ও মাটিগাড়া বাজারের কাছেও পথ অবরোধ করা হয়েছিল। বেলা ১২টায় ঠক্করের কাছে, মহানন্দা সেতুর সামনে রাস্তায় প্রচুর টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ শুরু হয়ে যায়। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে সেখানে পথ অবরোধ চলে। শেষে পুলিশ গিয়ে পথ অবরোধ তুলেছে বলে সূত্রের খবর।
দফায় দফায় পথ অবরোধের জেরে, যানজটে ভুগতে হয়েছে পথে বেরোনো মানুষকে। বিকেলে মাল্লাগুড়িতে কমিশনারেটের সামনেও বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছে। শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অরুণ মণ্ডলের দাবি, “জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়ায় আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। পুলিশকে জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সোমবার মাটিগাড়া এলাকায় বন্ধ সফল হয়েছে। প্রতিনিধি দল পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছে। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে, আমরা ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”
হামলার ঘটনায় সোমবার দু’জনকে গ্রেফতার করেছে মাটিগাড়া থানার পুলিশ। যদিও বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি। ধারালো অস্ত্র হাতে অনেক জনকে হামলা করতে দেখা গেলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ দিকে, বিজেপি অশান্তি করার জন্য এ সব করছে বলে তৃণমূলের দাবি।
এ দিন জেলা তৃণমূল (দার্জিলিং সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, “ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। যারা অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy