অধীর চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফের তীব্র আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সবাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর দাবি, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জিতে ভারতের গণতন্ত্রকে হত্যা করার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, ‘‘যেটা গত ১০ বছর ধরে মোদী করেছেন সেটার নাম ইলেকটোরাল অটোক্রেসি। আমরা ভারতবর্ষের গণতন্ত্রকে খতম হতে দেব না। এই লক্ষ্যে আমরা ইন্ডিয়া জোট বেঁধে মোদীর বিরোধিতা এবং বিজেপির বিরোধিতা করছি। সেই বিরোধিতায় মোদী হয়তো ঘাবড়ে যেতে পারে, মোদীর হয়তো হতাশা বাড়তে পারে। কংগ্রেস স্বাধীনতার আগে এবং পরে দেশের জন্য কী করেছে তার ইতিহাস মোদী যদি পড়তেন, তা হলে কংগ্রেসের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা থাকত। কিন্তু সেটা তিনি পড়লেও তা বিকৃত করে পড়েছেন। তাই শ্রদ্ধার জায়গায় তাঁর ঘৃণা তৈরি হয়েছে এবং এই ঘৃণা যেটা তিনি নিজে পোষণ করেন সেটা ভারতের মানুষের মনের মধ্যে ঢোকাতে চাইছেন।’’
জেলা বিজেপির সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘অধীরবাবুর বিনাশকালে বুদ্ধি নাশ হয়েছে।’’
তবে অধীর যে ইন্ডিয়া জোটের কথা বলছেন, সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি বলেছেন এরা (ইন্ডিয়া জোটসঙ্গী) একে অপরকে গালি দেয়, দিল্লিতে বন্ধুত্ব করে।
যা শুনে সোমবার দুপুরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘‘আমাদের কোনও ডবল রাজনীতি নেই। ভারতবর্ষের বিজেপি এতদিন কী করেছে সেটা দেখুক। বিভিন্ন রাজ্যে অপারেশন লোটাসের মাধ্যমে বিরোধী দলকে ভাঙিয়ে, টাকা দিয়ে, ভয় দেখিয়ে যারা সম্পূর্ণ বিরোধী রাজনৈতিক দল তাদের সাথে জোট বেঁধে তারা সরকার চালায়। বিহার দেখুন, মহারাষ্ট্র দেখুন। মোদীকে বলব ধর্মের কথা অপরকে না বলে, ধর্মের কথা আপনি শুনুন, আপনি পড়ুন। আপনি আচারি ধর্ম। আগে নিজে ধর্ম পালন করুন। তারপরে লোককে শেখান।’’
শাখারভ তার উত্তরে বলেন, ‘‘রাজ্যে কুস্তি কেন্দ্রে দোস্তি এই বিজেপিতে এই নজির কোনও জায়গায় নেই। তৃণমূলের সঙ্গে অধীরবাবুরা এখানে কুস্তি করছেন। আর দিল্লিতে দোস্তি করছেন।’’
অধীর চৌধুরীর কঠোর তৃণমূল বিরোধিতা নিয়ে দলের অন্দরে বিতর্ক চলছে কয়েক দিন ধরে। তার মাঝে সোমবার পঞ্চম দফার নির্বাচনে বিক্ষিপ্ত অশান্তি নিয়ে ফের তৃণমূলকে বিঁধেছেন অধীর চৌধুরী। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল খুব হতাশাগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে। তাই তারা আক্রমণের রাস্তা নিয়ে নিচ্ছে। প্রথম প্রথম তাদের এরকম তেজ ছিল না। তখন তারা ভেবেছিল সব ঠিকঠাক চলছে। এখন যত দফা (ভোটের) এগিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল তত বুঝতে পারছে তাদের পায়ের তলার মাটি হালকা হয়ে যাচ্ছে। আর যত তারা বুঝতে পারছে আগামী দিনে তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জল নয়, বিবর্ণ। তত বেশি করে তারা আক্রমণাত্মক হচ্ছে। এদের আক্রমণ দিনের পর দিন বাড়বে। নির্বাচনের পর আরও বাড়বে।’’ তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের দাবি, আসলে অধীরবাবুর দলই পিছিয়ে পড়ছে।
শাখারভের দাবি, ‘‘২০০৬ মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন অধীর চৌধুরী। তিনি দলের হাত চিহ্নের প্রার্থী মায়ারানি পালের বিরুদ্ধে নির্দল হিসেবে মনোজ চক্রবর্তী দাঁড় করিয়েছিলেন। মনোজ বাবু সহ চার জন প্রার্থীকে চার জন কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিলেন অধীর। সেই ইতিহাস মানুষ জানেন।’’ শাখারভের দাবি, ‘‘কলকাতায় বিধান ভবনে কংগ্রেস সভাপতি খড়গের ছবিতে কংগ্রেসের লোকজন কালি দিয়েছেন। এটা লজ্জার।’’ অধীর যদিও বলেন, ‘‘এটা খুবই নিন্দাজনক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy