Advertisement
Back to
Lok Sabha Election 2024

আসছেন না মোদী, রাহুল

বিজেপি প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এ বারে তাঁদের দলীয় প্রার্থী নির্মল সাহার সমর্থনে বহরমপুরে প্রচার আনতে চেয়েছিল।

বহরমপুরে আসছেন না মোদী এবং রাহুল।

বহরমপুরে আসছেন না মোদী এবং রাহুল। —ফাইল চিত্র।

সামসুদ্দিন বিশ্বাস
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২৪ ০৮:১৪
Share: Save:

সারা দেশে যে কয়েকটি লোকসভা কেন্দ্রের প্রতি মানুষের নজর রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল বহরমপুর। এ রাজ্যে কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত বহরমপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী পাঁচ বারের সাংসদ অধীর চৌধুরী গত পাঁচ বছর লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধোনা করেছেন। আর সেই কেন্দ্রকে এ বারে ‘পাখির চোখ’ করে লড়াই করছে বিজেপি। তৃণমূলও ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন তারকা ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী লড়াইয়ে নেমেছে। কিন্তু প্রচারে তার রেশ তেমন দেখা যাচ্ছে না।

বিজেপি প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এ বারে তাঁদের দলীয় প্রার্থী নির্মল সাহার সমর্থনে বহরমপুরে প্রচার আনতে চেয়েছিল। তবে সময় অভাবে প্রধানমন্ত্রী সভা করতে আসছেন না বহরমপুরে। আবার অধীর চৌধুরীর হয়েও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বহরমপুরে প্রচারে আসবেন বলে শোনা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিনিও অধীরের প্রচারে বহরমপুরে আসছেন না। শুধু তাই নয়, সে ভাবে মুর্শিদাবাদ দলের প্রার্থীদের প্রচারে কংগ্রেসের দিল্লির শীর্ষ নেতাদের আসতে দেখা যায়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করে গিয়েছেন।

পড়শি জেলা নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে বহরমপুরের মতো ‘হাইভোল্টেজ’ কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর আসার কথা থাকলেও এলেন না কেন? বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী দেশ জুড়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রচারে যাচ্ছেন। তাঁর পক্ষে একা সব কেন্দ্রে প্রচারে যাওয়া সম্ভব নয়। তা ছাড়া দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মতো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার করে গিয়েছেন।’’

আপনাদের দলের কেন্দ্রীয় কোনও নেতাকে বহরমপুরে প্রচারে আসতে দেখা গেল না কেন?— বৃহস্পতিবার দুপুরে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী আসতে চেয়েছিলেন ১১ তারিখে। আমরা বললাম যে ১১ তারিখ শেষ প্রচারের দিন। আমরা ১০ তারিখে চেয়েছিলাম। কিন্তু ১০ তারিখের রাহুল গান্ধীর কেরলে একটা প্রোগ্রাম আছে। তাই বলল যে আমি ১১ তারিখে যাই। আমরা বললাম থাক ১১ তারিখ প্রচারের শেষ দিন, আমরা ম্যানেজ করে নিচ্ছি।’’ অধীর আরও বলেন, ‘‘দিল্লির কাছে না চাইলে দিল্লি কি জোর করে পাঠাবে? মল্লিকার্জুন খাড়্গে আসেনি মালদহে? মুর্শিদাবাদে রাহুল গান্ধী দুদিন ধরে থাকল, ঘুরল, রাত যাপন করল। তার কি কোন মূল্য নেই? সে তো ভোটের আগেই হয়েছে। খামোকা বারবার নিয়ে আসব কেন?’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy