খলিলুর রহমান। —ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের নিরিখে কিছুটা হলেও শক্তি কমেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের। কিন্তু তাতে ব্যবধান কমলেও খড়গ্রাম থেকে এ বারও লিডের জায়গাতেই আছেন জঙ্গিপুর কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূলের প্রার্থী খলিলুর রহমান, এমনটাই দাবি করছেন খড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল নেতৃত্ব। রাত পোহালেই গণনা শুরু। যদিও ওই কেন্দ্র এ বার বিজেপি ও কংগ্রেসের ‘চাপা’ হাওয়া অনেকটা কাজ করেছে বলেও স্বীকার করছেন দলের একাংশ।
ভোটের প্রার্থী ঘোষণা হওয়া থেকে তৃণমূল, বিজেপি ও কংগ্রেস প্রার্থীরা কেউই বসে ছিলেন না। সকলেই এলাকায় মাটি আঁকড়ে পড়ে থেকে প্রচার করে গিয়েছেন শেষ দিন পর্যন্ত। ভোটের আগে হুডখোলা গাড়িতে রোড-শো করেছেন খলিলুর। কিন্তু আগাগোড়াই গ্রামের পর গ্রাম হেঁটেই প্রচার করেছে ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ। ধনঞ্জয় বলেন, “খড়গ্রাম বিধানসভা শুধু নয় জঙ্গিপুর কেন্দ্রের প্রত্যেকটি বিধানসভ এলাকার মানুষ কেন্দ্রে বিজেপির হাতকে শক্ত করার জন্য বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। খড়গ্রামের মানুষ বিজেপিকে ভালবেসে ভোট দিয়েছেন। আমরা লিডের জায়গাতে আছি।”
অন্য দিকে, বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষ থেকে ওই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন মুর্তজা হোসেন। তৃণমূল ও বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার অনেক পরে কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণা করেছিল। কংগ্রেসের হারিয়ে যাওয়া মাটি উদ্ধার করতে প্রার্থী হওয়ার পর থেকে এক দিনের জন্য প্রচার থেকে বিরত ছিলেন না মুর্তজা। অধীর চৌধুরীও ওই কেন্দ্রে বেশ কয়েকটি সভা করেছিলেন। খড়গ্রামে সভায় ভিড় দেখে অধীরকে খোশ মেজাজেই থাকতে দেখা গিয়েছিল।
খড়গ্রাম ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, “২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর থেকে তৃণমূল খড়গ্রামে শক্তি হারিয়েছে, তার প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটে দেখা গিয়েছে। আমরা ওই বিধানসভা এলাকার ১৪টি অঞ্চলেই দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের দেখা পেয়েছি যাঁরা তৃণমূলের ভয়ে গৃহবন্দি ছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “খড়গ্রামে আমাদের প্রার্থী কম হলেও লিডে থাকবে এটা বলতে পারি।”
যদিও বিরোধীদের দাবিকে পাগলের প্রলাপ বলে কটাক্ষ করে খড়গ্রামের তৃণমূল বিধায়ক আশিষ মার্জিত বলেন, “খড়গ্রামের ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে দশটি তৃণমূল একক ক্ষমতায় দখলে আছে, তিনটি বাম ও কংগ্রেস জোট দখল করেছে একটি বিজেপি। গত বিধানসভায় ৩৩,৮৮৯ ব্যবধানে বিধায়ক নির্বাচন করেছেন এলাকার মানুষ, বিজেপি দ্বিতীয় ও কংগ্রেস তৃতীয় স্থানে আছে। সেখানে লিডের আশা করছে। ব্যবধান কমতে পারে কিন্তু লিডে আমাদের প্রার্থীই থাকবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy