মহুয়া মৈত্র। নিজস্ব চিত্র।
সংসদে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে বহিষ্কার আর সিপিএমের সংখ্যালঘু ভোট কাটার জেরে এ বার তাঁর লড়াই কঠিনতর বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কিন্তু বুধবার পুরুলিয়ার পুঞ্চায় ভোটের প্রচারে গিয়ে প্রাক্তন তৃণমৃল সাংসদ মহুয়া মৈত্র দাবি করেন, কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে এক লক্ষ ভোটে জিতবেন বলে তাঁর বিশ্বাস। বিরোধীরা অবশ্য এই তাঁর দাবি নিয়ে কটাক্ষ করতে
ছাড়ছে না।
গত ১৩ মে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। তার পরের দিন থেকেই মহুয়া নিজের কেন্দ্রে নেই। দলীয় সূত্রের খবর, দিল্লি থেকে ফিরে তিনি দলের প্রার্থীদের হয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে প্রচার করছেন। এ দিন পুঞ্চায় প্রচার সভায় তিনি বলেন, “মানুষ যদি না চায়, বোতাম টিপে আমাকে হারিয়ে দেবে। বিজেপি কী সাহসে ৩০৩ জন সাংসদ নিয়ে আমাকে বহিষ্কার করে?” এর পরেই তিনি যোগ করেন, “আমার দৃঢ বিশ্বাস, এক লক্ষ ভোটে আমি আবার জিতব।”
মহুয়া জিতবেন কি না, জিতলেও কত ভোটে জয়ী হতে পারেন তা নিয়ে গোটা কৃষ্ণনগর কেন্দ্র জুড়ে নানা মহলে জোর চর্চা চলছে। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা সম্ভাব্য ফলাফলের চুলচেরা হিসাব-নিকাশ করে চলেছেন। গত বার তৃণমূলের ঝড় তুলে তৃতীয় বার সরকারে ফেরার সময়ে প্রায় ৬৩ হাজার ভোটে জিতেছিলেন মহুয়া। তার মধ্যে বড় অবদান ছিল সংখ্যালঘু ভোটের।
মহুয়ার দলেরই অনেকে মনে করছেন যে এ বারের নির্বাচন কঠিনতর। কারণ এক দিকে মহুয়ার বিরুদ্ধে ‘ঔদ্ধত্য’ ও ‘দুর্ব্যবহার’-এর অভিযোগ তুলে বার বার সরব হয়েছেন তাঁর দলের প্রবীণ নেতারাও। এ ছাড়া, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিশেষত সংখ্যালঘু এলাকায় সিপিএম এবং কংগ্রেসের যে ভাবে ভোট বেড়েছে, তাতে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটে জোট থাবা বসাতে পারে, এমন আশঙ্কা আদৌ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে ভোটের বিকালে মহুয়াকে যে রকম ফুরফুরে মেজাজে দেখা গিয়েছে তাতে তিনি জয়ের অঙ্ক কষে ফেলেছেন বলে অনেকেরই অনুমান।
বিরোধীরা অবশ্য এখনও দাবি করছেন যে মহুয়ার হার নিশ্চিত। কৃষ্ণনগর রাজপরিবারের সদস্য তথা বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের দাবি, “উনি মারপিট করে, বাঁশপেটা করে ভোটে কারচুপি করে এক লক্ষ ভোটে জেতার দিবাস্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত হবে না। মানুষ কিছুতেই এক জন দেশদ্রোহীকে জেতাবে না।” আর সিপিএম প্রার্থী এস এম সাদির দাবি, “দাদা-দিদি দুটোই ডুবছে। সেটা বুঝতে পেরেই তৃণমূল প্রার্থী এখন কষ্টকল্পিত কথা বলে হতাশ হয়ে পড়া কর্মীদের চাঙ্গা করতে চাইছেন। ফল বেরোলেই সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy