বুথের বাইরে দেব। —ফাইল চিত্র।
পরীক্ষা শেষ। ফল ঘোষণা হয়নি। মাঝের এই সময়ে চলছে ভোট পরবর্তী সমীক্ষা নিয়ে চর্চা। সংবাদমাধ্যমের সেই চর্চায় ঢেউ কর্মীদের মনেও। পরিস্থিতি বুঝে তাঁদের ভরসা জোগালেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব। নেতা-কর্মীদের নিয়ে তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে লিখলেন, ‘আরে আমরাই জিতছি। সর্বনিম্ন ২৬টি আসন পাবে তৃণমূল। সর্বাধিক ২৯
থেকে ৩০’।
ভোট পরবর্তী সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরেই রাজ্য-রাজনীতিতে হইচই পড়ে গিয়েছে। ওই সব সমীক্ষায় কোথাও তৃণমূলকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। কোথাও আবার বলা হয়েছে লড়াই সমানে-সমানে। তা দেখে উল্লসিত পদ্ম শিবির। হতাশ তৃণমূলের কর্মীরা। ঝিমিয়ে পড়া কর্মীদের চাঙ্গা করতে আসরে নেমেছেন দেব। রবিবার তিনি ওই বার্তা দেওয়ার পরে সক্রিয় হয়ে ওঠেন অন্যরাও। দলের সবর্ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বার্তাও পোস্ট করেন তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক যুব সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। কাউকে আবার এক লক্ষ ৭০ হাজার গাছ ‘অর্ডার’ দেওয়ার আবদার করতে দেখা যায়। তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশিস হুতাইত বলছেন, “দেব দলের গ্রুপে বার্তা দিয়েছেন। আত্মবিশ্বাস থেকেই প্রার্থী এ কথা কর্মীদের জানিয়েছেন।”
বিজেপি সূত্রের দাবি, দলের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের ফল তাদের পক্ষে না যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ভোটের পরে ঘাটাল কেন্দ্র নিয়ে যা মন্তব্য করেছিলেন, তা থেকেও গেরুয়া শিবির মনে করছে, ঘাটাল কেন্দ্রে জয়ের ব্যাপারে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। যদিও বিজেপির দাবি, কেশপুরে ‘সন্ত্রাস’ না হলে ফল অন্য রকম হতে পারত। কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন, যে আসনে এতটা শক্তিশালী শাসক দল, সেখানে কেন প্রার্থীকে এমন বার্তা দিতে হচ্ছে। বিজেপি নেতা তন্ময় দাস বলেন, ‘‘সব সমীক্ষার ফল দেখে তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। গণনাকর্মীরা আতঙ্কিত। তাই এমন বার্তা দিতে হচ্ছে তৃণমূল প্রার্থীকে।’’
তৃণমূলের একাংশের ব্যাখ্যা, নেতারা যতই বলুন না কেন, সমীক্ষার এক ধরনের প্রভাব পড়ে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে। জাতীয় স্তরের প্রায় সব সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠন করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। কয়েকটি সমীক্ষা বঙ্গে বিজেপিকে তৃণমূলের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে। একটি ক্ষেত্রে তো ঘাটাল আসনটি বিজেপি পাবে বলেও দাবি করা হয়েছে। নিচুতলার নেতা-কর্মীদের নিজেদের অঞ্চল, বুথ সম্পর্কে
ধারণা থাকলেও, সামগ্রিক ছবিটি সব সময় স্পষ্ট থাকে না তাঁদের কাছে। ফলে, বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ভোটের গণনায় তার প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই সব দিক বিচার করেই বার্তা দিয়েছেন দেব। ঘাটালের তৃণমূল নেতা দিলীপ মাজি যদিও বলেন, ‘‘সমীক্ষার ফলে কর্মীদের মনোবলে কোনও প্রভাব পড়ে না। সমীক্ষা ৪ জুন হাস্যকর প্রমাণিত হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy