—প্রতীকী চিত্র।
এবারে ইশা খানের ইজ্জত রক্ষার সওয়াল। ২০১৯ সালে মালদহ মুখ ফেরালেও কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরীকে দিল্লির সংসদ ভবনে পৌঁছে দিয়েছিল ফরাক্কা ও শমসেরগঞ্জ। তাই এ বারেও মুর্শিদাবাদের এই দুই কেন্দ্রের দিকেই তাকিয়ে আছেন মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রের বাসিন্দারা।
গত লোকসভা নির্বাচনে মালদহ দক্ষিণে গনিখান পরিবারের সম্মান রক্ষা করেছিল মুর্শিদাবাদ। মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে ৫টি বিধানসভা রয়েছে মালদহ জেলায়। বাকি দু’টি মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ও শমসেরগঞ্জ। পর পর তিন বার এই কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে জিতে এসেছেন আবু বরকত আতাউল গনিখান চৌধুরীর ভাই আবু হাসেম খান চৌধুরী। ২০১৯ সালের নির্বাচনে হাসেম খান মালদহের ৫ কেন্দ্র থেকে ৬৪,৯৮০ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ফরাক্কায় ৭৬১০৭ ও শমসেরগঞ্জে ৭৩০৫৪ ভোট পেয়ে গণনা শেষে মাত্র ৮২২২ ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে মুখ রক্ষা হয় তাঁর। এ বারে হাসেম খানের জায়গায় কংগ্রেস প্রার্থী তাঁরই ছেলে ইশা খান চৌধুরী।
মালদহ দক্ষিণ বরাবরই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। একই ভাবে শক্তিশালী বিজেপিও। মালদহের ৫ বিধানসভার মধ্যে তিনটিতে এক নম্বরে থেকেছে বিজেপি। অন্য দু’টিতে কংগ্রেস। অথচ ৪টি বিধানসভাই তৃণমূলের দখলে। ফরাক্কা ও শমসেরগঞ্জেও বিধায়ক তৃণমূলের। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে রহস্যময় দাপটকংগ্রেসের।
বহু চেষ্টা করেও তৃণমূল কখনও এই কেন্দ্রের দুই বিধানসভা এলাকায় লিড পেয়ে বেরোতে পারেনি। অথচ, শমসেরগঞ্জে সব ক’টি পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে। ধুলিয়ান পুরসভাও তৃণমূলের দখলেই শুধু নয়, ২১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে সমস্ত বিরোধীকে দলে টেনে এই মুহূর্তে বিরোধী শূন্য। সংখ্যালঘু ভোট ৮০ শতাংশের উপরে।২০২১ সালের বিধানসভায় তৃণমূল জিতেছিল কংগ্রেসকে ২৬৩৭৯ ভোটে হারিয়ে। ফরাক্কাতেও সমস্ত বিরোধীকে প্রায় উপড়ে ফেলে ৯টির মধ্যে সব ক’টি পঞ্চায়েত তৃণমূল দখলে নিয়েছে। সংখ্যালঘু ভোটারের সংখ্যা ৬৭ শতাংশের বেশি। ২০২১ সালে তৃণমূল ফরাক্কা বিধানসভায় জয়ী হয়েছে ৫৯৯৪৫ ভোটে বিজেপিকে হারিয়ে। কংগ্রেস সেখানে তৃতীয় স্থানেই নয়, তৃণমূলের সঙ্গে ভোটের ফারাক৬৬,১১৪টি।
এই রাজনৈতিক বিন্যাসে থাকা ফরাক্কা ও শমসেরগঞ্জে লোকসভা নির্বাচনে ফের যেন জমির দখল নিয়েছে কংগ্রেস। তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়েও সে দলের কর্মীরা যে চুপচাপ হাতে ছাপ মেরেছেন তা মানছেন তৃণমূলের এক জেলা নেতা নিজেই। আর তাতেই প্রমাদ গুনছে তৃণমূল।
কংগ্রেসের শমসেরগঞ্জের ব্লক সভাপতি ইমাম হোসেন বলছেন, ‘‘অভাবনীয় ভোট হয়েছে এ বারে শমসেরগঞ্জে।মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পেরেছে। গত নির্বাচনে ছিল ৮ হাজারের ব্যবধান। এবারে তা হবে ২০ হাজার।” যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সহিদুল ইসলাম বলছেন, “আবেগ দিয়ে ভোট হয় না। জনসংযোগ, সংগঠন ভোট পাওয়ার চাবিকাঠি। তাই এ বারে তৃণমূল অন্তত ১৫ হাজারে নিশ্চিত ভাবেই এগিয়ে থাকবে।”
যদিও ফরাক্কা ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি শেখ হেদায়েতুলের কথায়, “এ বারে অন্তত ২০ থেকে ২৫ হাজারে এগিয়ে থাকবে কংগ্রেস।’’
কংগ্রেসের এই দাবি মানতে চাননি ফরাক্কা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ইলিয়াস শেখ। তাঁর দাবি, ‘‘ভাল ভোট হয়েছে। ফরাক্কায় এগিয়ে থাকবে তৃণমূল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy