বন্ধ হিমঘর। নিজস্ব চিত্র digantamannaabp@gmail.com
রাজ্যের অন্যতম ফুল চাষের বলয়। শীতের মরসুমে এলাকা ঘিরে পর্যটনও বাড়ছে। কিন্তু এখানের ফুল চাষিরা যেন ব্রাত্য প্রশাসনের কাছে। ঘাটাল লোকসভার অধীন পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভায় ফুল চাষিরা ভোট বাক্সে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
তমলুক মহকুমায় বেশি ফুল চাষ হয় পাঁশকুড়া ব্লকে। এলাকার মাইশোরা, কেশাপাট, গোবিন্দনগর, ঘোষপুর, পাঁশকুড়া-১ এবং পাঁশকুড়া পুরসভার একাংশে ব্যাপক ফুল চাষ হয়। প্রায় ১৫ হাজার পরিবার চাষ এবং ফুলের ব্যবসায় যুক্ত। মেচগ্রামে ২০০৪ সালে একটি ফুল বাজার তৈরি করে বাম সরকার। বাজার চত্বরেই পাঁচ টন ফুল সংরক্ষণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি হিমঘর বানানো হয়। সেখানে ফুল মজুত রাখতেন এলাকার চাষিরা। উৎসবের সময় তা বিক্রি করে অধিক মুনাফা লাভ করা যেত। ২০২০ সাল থেকে হিমঘরটি বন্ধ। সেটি আর সারানো হয়নি।
ফুলের উপজাত সামগ্রী তৈরির কারখানা গড়ার দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু সেই দাবিও পূরণ হয়নি। ফলে এলাকার অর্থনৈতিক বুনিয়াদের ভিত্তি ফুল চাষ হলেও চাষিদের অবস্থার তেমন পরিবর্তন হয়নি। এদিকে, ফুলকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর দোকাণ্ডায় পর্যটকের ঢল নামে। ফুলের বাগানের মাঝ বরাবর ছুটে যাওয়া রেল গাড়ির ছবি রেল মন্ত্রক ‘শেয়ার’ করে। এর পরেও ভোট মিটলে চাষিদের হতাশা দূর হয় না। পাঁশকুড়া পুরসভা এলাকাতেও উড়ালপুল, যানজট, নিকাশি সমস্যা নিয়ে শহরবাসীর ক্ষোভের অন্ত নেই।
গত লোকসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। এর পরেও এই এলাকায় কোনও হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতাকে প্রচারে দেখা যাচ্ছে না লোকসভা ভোটের আগে। পাঁশকুড়ার বিজেপি নেতা অঞ্জন মাইতি বলেন, ‘‘পাঁশকুড়াবাসীর প্রধান জীবীকা ফুল চাষের জন্য এই সরকার কিছুই করেনি। আমাদের প্রার্থী জিতলে হিমঘর চালু, চাষিদের উন্নত পরিকাঠামো দেব।’’ তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক সভাপতি সুজিত রায়ের কথায়, বলেন, ‘‘উদ্যানপালন দফতর চাষিদের বিনামূল্যে চারাগাছ, সার, কীটনাশক দেয়। পর্যটনকে চাঙ্গা করতে দোকাণ্ডায় সরকারি উদ্যোগে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। ফুল চাষিরা আমাদের পাশে রয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy