—প্রতীকী চিত্র।
বহুদিন ধরেই এলাকায় একটি কলেজ গড়ার দাবি করে আসছেন বাসিন্দারা। ভোটের আগে শক্তিপুরে সেই কলেজের দাবি ফের উঠছে।
বেলডাঙা ২ ব্লকের শক্তিপুরের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, অতীতেও বিভিন্ন ভোটের আগে এলাকায় এসে রাজনৈতিক দলের নেতারা শক্তিপুরে কলেজ তৈরির আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু ভোট মিটে গেলে তাঁরা সেই আশ্বাস পালন করেননি। ফলে এলাকার পড়ুয়াদের জন্য আজও সেখানে কলেজ তৈরি হয়নি।
বেলডাঙা ২ ব্লকে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল এবং হাই মাদ্রাসা নিয়ে মোট ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই সব প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের দ্বাদশ মান পেরনোর পরে কলেজে পড়তে গিয়ে বহরমপুর বা আরও দূরের কোনও কলেজে যেতে হয়। শক্তিপুরের পুবদিকে ভাগীরথী নদী, পশ্চিমে বাবলা নদী। নৌকো ছাড়া শক্তিপুরে পৌঁছন যায় না। এই অবস্থায় এলাকায় কোনও কলেজ না থাকায় কয়েকশো ছাত্রছাত্রীকে বহরমপুর, সালার, কাটোয়া কলেজে গিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। শক্তিপুরে কলেজ তৈরির দাবি নিয়ে এলাকার মানুষ নানা ভাবে প্রচার চালাচ্ছেন।
গত এক বছর ধরে ফেসবুক ও ইউটিউবে চলছে এ নিয়ে প্রচার। সম্প্রতি তাঁরা একটি সজ্জিত পুতুলকে ব্যবহার করে নাটিকার মাধ্যমে শক্তিপুরে কলেজের দাবি আদায়ের চেষ্টা করেছেন। শক্তিপুরের বাসিন্দা সন্দীপ দত্ত, উজ্জ্বল সরকার, পিউ ঘোষ, তরী ঘোষ, সুমিত্রা সরকারদের উদ্যোগে ওই নাটিকা তৈরি হয়েছে। সেই নাটিকা ফেসবুক, ইউটিউবের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া, স্থানীয় মানুষের সই-সংবলিত আবেদনপত্র জেলাশাসকের কাছে জমা দেওয়াও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জেলার দুই বিধায়কের কাছেও একই দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা।
শক্তিপুরের বাসিন্দা শক্তিপুর নাগরিক মঞ্চের পক্ষে উজ্জ্বল সরকার বলেন, “আমাদের ব্লকে হাইস্কুল ও হাই মাদ্রাসা রয়েছে মোট ১৩টি। সেখান থেকে পাশ করার পর প্রতি বছর কয়েকশো ছাত্রছাত্রীকে বহরমপুর, সালার, কাটোয়ার কলেজে গিয়ে পড়তে হচ্ছে। এতে অনেকেই পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ, দূরের কলেজ যাতায়াতের খরচ ও সময় বেশি লাগছে।” দীপান্বিতা মণ্ডল নামে এক কলেজ ছাত্রীর কথায়, “শক্তিপুরে কলেজ না থাকায় অনেকে বাধ্য হয়ে পড়া ছেড়ে দিচ্ছে। কারও সময়ের আগেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এলাকায় কলেজ হলে এ সব সমস্যা মিটবে।” রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী এ নিয়ে বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করছি যাতে শক্তিপুরে একটি কলেজ তৈরি করা যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy