মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজিকে সরানো নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সোমবার তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী আবহে মুর্শিদাবাদে যদি কোনও হিংসার ঘটনা ঘটে, তার দায় কমিশনকেই নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা জানান, মালদহ-মুর্শিদাবাদে কোনও ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটলে নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে ধর্নায় বসবেন তিনি। সোমবার আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ার ডিমডিমা চা-বাগানের যাত্রা ময়দানে প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইকের সমর্থনে প্রচারে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানেই কমিশনকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার মুর্শিদাবাদের ডিআইজিকে অপসারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের সঙ্গে যোগ নেই, পুলিশের এমন পদে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইপিএস অফিসার শ্রী মুকেশকে। সত্বর সেই নির্দেশ কার্যকর করার কথাও বলা হয়েছে। মুকেশের বিরুদ্ধে বহরমপুরের বিদায়ী কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, ‘তৃণমূলের হয়ে কাজ’ করছেন আইপিএস অফিসার। তার পরেই বদলি।
আলিপুরদুয়ারের জনসভায় সেই প্রসঙ্গই উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, যাঁরা হিংসার ঘটনা সামলানোর কাজে দক্ষ, ইচ্ছা করে তাঁদেরকেই পদ থেকে সরিয়ে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন, এবং কমিশন এই কাজ করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কথায়। মমতা বলেন, ‘‘আমাদের মুর্শিদাবাদের ডিআইজিকে সরিয়ে দেওয়া হল বিজেপির কথায়। এখন মালদহ-মুর্শিদাবাদে যদি হিংসার ঘটনা ঘটে, তা হলে তার দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। আমি জানি কারা হিংসা সামলাতে পারে। কমিশন বিজেপির কথায় রাজ্য থেকে বেছে বেছে অফিসারদের সরিয়ে নিয়েছে।’’
পাশাপাশি কমিশনের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘একটাও হিংসার ঘটনা ঘটলে আমরা আপনাদের ধরব। আমি যদি কৃষকদের জন্য ২৬ দিন অনশন করতে পারি, তা হলে আপনাদের অফিসের সামনেও ৫২ দিন ধর্না দিতে পারি। দেখে নেব, কত জেল আর পুলিশ আছে। কত মারবেন দেখে নেব। আমি লড়তে জানি।’’
নতুন সকাল আনতে তৃণমূলে ভোট দিন। আলিপুরদুয়ারের প্রার্থীর প্রচারে গিয়ে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘দেশকে রক্ষা করতে হবে। মানুষকে এবং তাঁদের অধিকার বাঁচাতে হবে। মানুষ এই লড়াইয়ে শামিল না হলে বিজেপি দেশকে বিক্রি করে দেবে। ভবিষ্যতে কোনও ভোট হবে না দেশে।’’
মমতা বলেন, ‘‘বিজেপির নেতারা দিল্লি গিয়ে বলে আসেন বাংলাকে টাকা দিতে হবে না। ওরা প্রকল্পের টাকা দেয় না। চা-বাগান বন্ধ করে দিয়েছিল। আমি সমস্যা মিটিয়ে দিয়েছি। ১০০ দিনের কাজের জন্য কেন্দ্রের ভরসায় থাকতে হবে না।’’
আমি ভিতু নই। লড়ে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাব। আলিপুরদুয়ারে মন্তব্য করলেন মমতা। তিনি আরও বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ারের জমির সমস্যা মিটিয়েছি। চা-বাগানের জমির সমস্যাও মিটিয়েছি। নির্বাচনের পর ফালাকাটায় আসব।’’
মমতা বলেন, ‘‘যারা চোর, তারা গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেয়। আমাদের মুর্শিদাবাদের ডিআইজিকে সরিয়ে দেওয়া হল বিজেপির কথায়। এখন মালদহ-মুর্শিদাবাদে যদি হিংসা হয়ে যায়, তা হলে তার দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। আমি জানি কারা হিংসা সামলাতে পারে। কমিশন বিজেপির কথায় রাজ্য থেকে বেছে বেছে অফিসারদের সরিয়ে নিয়েছে। একটাও হিংসার ঘটনা ঘটলে আমরা আপনাদের ধরব। আমি যদি কৃষকদের জন্য ২৬ দিন অনশন করতে পারি, তা হলে আপনাদের অফিসের সামনেও ৫২ দিন ধর্না দিতে পারি। দেখে নেব, কত জেল আর পুলিশ আছে। কত মারবেন দেখে নেব। আমি লড়তে জানি।’’
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘‘আমাদের খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন করতে হচ্ছে। তিন মাস ধরে ভোট হচ্ছে। মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা কিছুই বোঝে না ওরা। বিজেপির কিসে সুবিধা হবে, শুধুমাত্র সেটাই দেখা হচ্ছে। বিরোধীদের আওয়াজ কেড়ে নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেউ আওয়াজ করলে জেলে পুরে দেওয়া হয়। যে সব সরকারি আধিকারিকেরা ভাল কাজ করেন, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়। অথচ সিবিআই, ইডির চোর অফিসারদের কাজে লাগানো হয়। অনেক প্রধানমন্ত্রী দেখেছি। এ রকম কোনও প্রধানমন্ত্রী দেখিনি।’’
মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জায়গার নাম জানেন না, অথচ প্রচারে এসেছেন বাংলায়। এরা দেশের মানুষের স্বাধীনতা, ধর্ম, অধিকার সব নষ্ট করে দেবে। আপনারা কি চান যে বিজেপি সব কিছু বিক্রি করে দিক?’’
আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ার ডিমডিমা চা-বাগানের যাত্রা ময়দানের মঞ্চে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঠে জনতার ভিড়।
আগামী শুক্রবার রাজ্যের তিন আসনে প্রথম দফার ভোট। তাই উত্তরবঙ্গের ভোট প্রচারে ঝড় তুলতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যে সোমবার উত্তরবঙ্গে জোড়া প্রচারসভা করছেন তিনি। কোচবিহারে তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ বসুনিয়ার সমর্থনে প্রচার সেরে আলিপুরদুয়ারে এলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুরদুয়ারের প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইকের সমর্থনে জনসভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy