তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র ।
অভিষেক বলেন, ‘‘উন্নয়নের অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটছে। আরও ছুটবে, যদি জোট ইন্ডিয়ার সরকার তৈরি হয়। বিজেপির সরকার আসবে না। এলেও চিন্তা করতে হবে না। ওরা টাকা দিক না দিক, ২১ ডিসেম্বরের আগে যাঁরা আবেদন করবেন, কুলতলির এলাকার সেই মানুষদের বাড়ির টাকা আমাদের সরকার দিয়ে দেবে।’’
বিজেপির সন্দেশখালির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল বলছেন, একটি বুথে মদ খাওয়ার খরচ পাঁচ হাজার। কটাক্ষ অভিষেকের। তিনি বলেন, ‘‘১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ। অথচ বিজেপির একটি বুথে মদ খাওয়ার খরচ বলছে পাঁচ হাজার। বাংলায় কত বুথ আছে জানেন? আশি হাজার। একটা বুথে পাঁচ হাজার হলে আশি হাজার বুথে ৪০ কোটি টাকা। বিজেপির বাড়ির টাকা বন্ধ আর বিজেপির ভোটের দিন মদের বাজেট ৪০ কোটি। এত টাকার মদ কে খাবে? অবাক হওয়ার কিছু নেই। এলাকায় কোনও ভাল লোক বিজেপি করে না। আর তাই জন্য মদের বাজেট এত।’’
অভিষেক বলেন, ‘‘সন্দেশখালির ভিডিয়ো দেখেছেন? কী ভাবে মহিলাদের দু’হাজার টাকা দিয়ে ধর্ষণের মতো মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে। বিজেপির নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে এই কথা বলতে শোনা গিয়েছে। বিজেপির তমলুক প্রার্থী বলছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাম কত?’। ভাবুন যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের সহযোগিতা করেছে, তার দাম জিজ্ঞাসা করছেন বিজেপির প্রার্থী। ১ জুন মহিলা শোষণকারী এবং নির্যাতনকারী বিজেপির যে ক’জন ছাইপাঁশ পড়ে রয়েছেন, তাঁদের ঝেঁটিয়ে বঙ্গোপসাগরে ভাসান দিতে হবে।’’
অভিষেক বলেন, ‘‘৪ জুন সরকার গড়লে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করবে তৃণমূল। সরকার গড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপিএল পরিবারগুলিকে বছরে বিনামূল্যে ১০টি করে সিলিন্ডার দেবে ইন্ডিয়া। বিজেপির ইস্তাহারে শুধু বিভাজন, বৈষম্যের রাজনীতির কথা রয়েছে। কথায় আছে স্যাকরার টুকটাক, কামারের এক ঘা। ১ জুন এক কোপে বিজেপিকে বধ করবেন।’’
বিজেপিকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘‘দেশে কালো টাকা বেড়েছে। গরিব আরও গরিব হচ্ছে। ধনী আরও ধনী হচ্ছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনলে সংবিধান পাল্টে যাবে। সংরক্ষণ ব্যবস্থা তুলে দেবে। আমরা বলছি না। বিজেপি নিজেই এ কথা বলছে সংকল্পপত্রে।’’
৪ জুন ফল বেরোবে কিন্তু বিজেপি সরকার গড়তে পারবে না। জয়নগরে মন্তব্য অভিষেকের। তিনি বলেন, ‘‘নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। জিরের উপরও জিএসটি চাপিয়েছে। হিরের উপর জিএসটি নেই। আমি আড়াই মাস নবজোয়ারের সময় রাস্তায় ছিলাম।
অভিষেক বলেন, ‘‘আমি আছি তো, দেখি কে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে। যত দিন তৃণমূল সরকার রয়েছে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীও লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করতে পারবেন না।’’
অভিষেকের কটাক্ষ, ‘‘বিজেপি লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করতে চায়। বিজেপি নেতারা এলে জিজ্ঞাসা করুন।’’
অভিষেক বলেন, ‘‘বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর গরিবকে ভাতে মারার চেষ্টা করেছে। সমস্ত প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে। বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়়ের সময় শুধু তৃণমূল মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কোভিডের সময়ও তৃণমূল পাশে ছিল। অন্য দিকে, বিজেপি সরকার ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়ে গিয়েছে। গত পাঁচ বছরে ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। কিন্তু মানুষের বকেয়া টাকা আটকে রেখেছে।’’
এ বার লড়াই বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে নয়। লড়াই হবে ভোটের ব্যবধানে। জয়নগরে মন্তব্য অভিষেকের। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির জুমলাবাজিকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার ভোট।’’
অভিষেক বলেন, ‘‘দক্ষিণ কলকাতা আমার জন্মভূমি হলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা আমার কর্মভূমি। ডায়মন্ড হারবার থেকে আমি প্রথম সাংসদ হই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy