জাতীয় নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।
গোলমাল পাকানোর আশঙ্কায় ভোটের শুরুতেই আটক করা হয় ‘হাঙ্গামাকারী’ হিসেবে পরিচিতদের। এ বার এই পদ্ধতি অক্ষরে-অক্ষরে পালন করে ফল মিলছে বলে দাবি করছে নির্বাচন কমিশনের সূত্র। কারণ, প্রথম দু’দফার ভোটে তেমন ভাবে বড় কোনও অশান্তির খবর মেলেনি। তৃতীয় দফাতেও ঘটেনি বড়সড় অশান্তি। এ বার আগামী দফাগুলিতেও এই পদ্ধতি আরও কঠোর ভাবে কার্যকর সিদ্ধান্ত কমিশন নিয়েছে বলেও খবর।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর সূত্রের খবর, প্রথম দু’দফার ভোটে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দেওয়া ছিল যে ভোট শুরু হতেই হাঙ্গামাকারীদের হেফাজতে নেবে পুলিশ। শেষ বেলায় তাঁদের ছেড়েও দিতে বলা হয়েছিল। যাতে তাঁরাও ভোট দিতে পারেন। সেই নির্দেশ অক্ষরে-অক্ষরে পালন করা হয়েছিল। প্রতি এলাকা থেকেই এমন ৫০-৬০ জন ব্যক্তিকে আটক করেছিল পুলিশ। তার ফলেই গোলমাল বাধেনি। প্রশাসনের এক কর্তা বলছেন, ‘‘আইন অনুযায়ী এমন হাঙ্গামাকারীদের ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ট আটকে রাখা যায়।’’
এ বার দক্ষিণবঙ্গের ছ’টি জেলায় প্রয়োগের ফলাফল ইতিবাচক আসায় দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও তা নিবিড় ভাবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত এক কর্তার কথায়, ‘‘ভোটের আগে প্রস্তুতির শুরুতেই বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক এই পদ্ধতি অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেটা মেনেই পদক্ষেপ করা হয়েছিল।’’
প্রথম দফায় কোচবিহার নিয়েই কমিশনের মাথাব্যথা ছিল। দ্বিতীয় দফায় রায়গঞ্জ, বিশেষ করে ইসলামপুর নিয়ে চিন্তিত ছিল কমিশন। কিন্তু দু’ক্ষেত্রেই বড় গোলমাল হয়নি। ৭ মে, তৃতীয় দফায় মালদহ (উত্তর), মালদহ (দক্ষিণ), মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুরে ভোট হয়। এক কর্তার কথায়, ‘‘প্রথম কৌশলে প্রভাবশালী নেতাদের গতিবিধির উপর ভিডিয়ো ক্যামেরা নিয়ে নজরদারি রাখা হচ্ছে। দ্বিতীয় কৌশল এই আটকের। ফলে আশা করা যায়, পরের দফাগুলিতে এগুলির প্রয়োগ দেখা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy