জাতীয় নির্বাচন কমিশন। — ফাইল চিত্র।
রামনবমীর সুরক্ষা নিয়ে তাঁদের চিন্তার কথা স্পষ্ট করে দিতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সূত্রের দাবি, গত বছর রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তির ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে রাজ্য প্রশাসনকে উপযুক্ত পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে তারা। এরই পাশাপাশি, প্রথম দফার ভোটে তিনটি লোকসভা আসনের ১০০% বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিকল্পনা জমা পড়েছে কমিশনে।
সূত্রের দাবি, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও এডিজি আইনশৃঙ্খলাকে ১৭ এপ্রিল রামনবমীকে ঘিরে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন কমিশন নিযুক্ত রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক। এ বছর ভোট চলাকালীন রামনবমীর মিছিল যে তুলনায় বেশি সংবেদনশীল, তা মানছেন কমিশন কর্তারা। গত বছর রামনবমীর গোলমালের পরে এনআইএ-তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। রামনবমী উদ্যাপনে একগুচ্ছ বিধিও প্রস্তুত করে দিয়েছিল কোর্ট। এখন প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকায় সেই বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে চায় কমিশন।
১৯ এপ্রিল জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ভোট। কোচবিহারে ১১২, আলিপুরদুয়ারে ৬৩ ও জলপাইগুড়িতে ৭৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার প্রস্তাব হয়েছে। বলা হয়েছে, একটি এবং দু’টি বুথ থাকা ভোট-এলাকায় (প্রেমাইস) অর্ধেক সেকশন বা চার জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন। তিন, চার, পাঁচ বুথ সম্বলিত প্রেমাইসে এক সেকশন বা আট জন এবং ছয়, সাত, আট বুথের প্রেমাইসে দেড় কোম্পানি বা ১২ জন করে জওয়ান থাকবেন। কিউআরটি-তে এক সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার প্রস্তাব হয়েছে। স্ট্রং-রুমের জন্য প্রস্তাব এসেছে তিন কোম্পানির। বাকি সর্বত্র রাজ্য পুলিশ রাখার প্রস্তাব হয়েছে। বিশেষ সাধারণ ও বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক পরিকল্পনা চূড়ান্ত করলে তা কার্যকর হবে।
কমিশনের নির্দেশ, এখন থেকে ভোট প্রচারের হোর্ডিং ছাপানো সংস্থার নাম রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রকাশ করতে হবে। আগে ‘সৌজন্য’ হিসেবে প্রচারকের নাম দিলেই চলত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy