—প্রতীকী ছবি।
ভোট ডিউটিতে ব্যস্ত পুলিশ কর্মীরা।
তাতেও আদালতের শুনানিতে সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না। কারণ, রাজ্যের প্রতিটি আদালতে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে জেল থেকেই ভার্চুয়ালি হাজির থাকতে পারতেন কর্মীরা। কিন্তু, রাজ্যের বহু আদালতে সেই সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি থাকলেও তা অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে, থমকে যাচ্ছে মামলা।
শুনানিতে অভিযুক্তদের হাজিরা জরুরি। কিন্তু, পুলিশ কর্মীদের অভাবে রাজ্যের সব নিম্ন আদালতে জেলবন্দি অভিযুক্তদের হাজিরা আপাতত তারা স্থগিত রাখতে চায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। হাজিরা ছাড়াও এক সংশোধনাগার থেকে অন্য সংশোধনাগারে স্থানান্তর অথবা প্যারোলে ছাড়া নিয়েও সমস্যায় রাজ্য পুলিশ। সম্প্রতি এই মর্মে রাজ্যের সব জেলা আদালতে চিঠিও পাঠিয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, বিষয়টিকে যাতে ‘নির্বাচনের জন্য জরুরি’ হিসেবে বিবেচনা করা হয় সেই বিষয়টিও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, নিম্ন আদালতের সব এজলাসে ভিডিয়ো কনফারেন্সের ব্যবস্থা থাকলে হাজিরার বিষয়টি নিয়ে এত সমস্যা হত না। কিন্তু রাজ্যের সব নিম্ন আদালতে সেই ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হয়নি। খাস কলকাতার বুকে থাকা শিয়ালদহ আদালতেই এই ধরনের ভার্চুয়াল হাজিরা বা শুনানির ব্যবস্থা পুরোপুরি নেই। শিয়ালদহ কোর্টের আইনজীবীরা বলছেন, অতিমারি পর্বে সব আদালতেই ভার্চুয়াল হাজিরা এবং শুনানির ব্যবস্থার পরিকাঠামো গড়ে তুলতে বলা হয়েছিল। সেই মতো যন্ত্রপাতি বসলেও তা চালু করা হয়নি। বিভিন্ন জেলা বা মহকুমার আদালতেও তথৈবচ দশা।
সংশোধনাগার থেকে বন্দিদের আদালতে নিয়ে আসা ও ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশি প্রহরা অপরিহার্য। একই ভাবে এক সংশোধনাগার থেকে এক বা একাধিক বন্দিকে পুলিশের ঘেরোটোপেই অন্য সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশকর্তাদের দাবি, পাহারায় ফাঁক থাকলে কোনও বিপদ ঘটতে পারে। ভোটের জন্য বেশির ভাগ পুলিশকর্মীকে নিযুক্ত করার ফলেই অল্প সংখ্যক পুলিশকর্মী দিয়ে দৈনিক এত বন্দিকে কোর্টে নিয়ে আসা-যাওয়া সম্ভব নয়। কিছু ক্ষেত্রে গাড়িও কম আছে। তাই ওই চিঠি, যাতে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া হাজিরা এড়ানো যায়। তবে কিছু নিম্ন আদালতে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমেও হাজিরা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy