—প্রতীকী ছবি।
আসন সমঝোতার বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য এ বার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আইএসএফের উপরে চাপ বাড়াল সিপিএম। আসন ভাগাভাগি নিয়ে পরবর্তী আলোচনার জন্য আজ, শুক্রবার বামফ্রন্টের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই সময়ের মধ্যে আইএসএফ তাদের মনোভাব স্পষ্ট না করলে তাদের জন্য রেখে দেওয়া আসন নিয়ে সিপিএম বিকল্প ভাবনার পথে যাবে। আইএসএফের তরফে অবশ্য বৃহস্পতিবার ইঙ্গিত মিলেছে, সিপিএমের সঙ্গে আলোচনার দরজা তারা বন্ধ করেনি। খোলা মনেই আসন সংক্রান্ত ভাবনা-চিন্তা করতে তারা এখনও প্রস্তুত।
আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বৃহস্পতিবার রাতে বাম শরিক সিপিআইয়ের সঙ্গে ফের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল আসন সিপিআই ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছিল সিপিএমকে। কিন্তু সিপিআই যাতে তাদের ভাগের তিনটি আসনেই লড়ার সুযোগ পায়, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। সিপিএমের এক পলিটব্যুরো সদস্যের কথায়, ‘‘গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটপ্রাপ্তির নিরিখে দেখলে বসিরহাট এবং বারাসত আসনদু’টিতে আইএসএফের ভাল প্রভাব আছে, ধরতে হবে। কিন্তু ওই দু’টি আসনই বামফ্রন্টের দুই শরিক দল বহু বছর ধরে লড়ে আসছে। একসঙ্গে দুই শরিক দলের আসন নিয়ে নতুন দল আইএসএফ-কে দিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই জন্যই তিনটি আসনের বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আইএসএফ এখনই তাদের অবস্থান স্পষ্ট না করলে ওই আসনগুলি নিয়ে কংগ্রেস বা আমাদের বাম দলের সঙ্গে কথা বলে প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়া হবে।’’ এখনও পর্যন্ত সিপিআইকে তিনটি এবং আরএসপি ও ফরওয়ার্ড ব্লককে দু’টি করে আসন ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে সিপিএমের।
কংগ্রেসের কাছে সিপিএমের প্রস্তাব, দার্জিলিং ও ডায়মন্ড হারবার আসনে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এক জনই অভিন্ন প্রার্থী থাকুন। তার বাইরে ১০টি আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিতে প্রস্তুত সিপিএম। সেই সংক্রান্ত আলোচনা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। তবে কংগ্রেস, আইএসএফের মতো দলের ক্ষেত্রে সিপিএম এক এক করে মীমাংসা-সূত্র সেরে ফেলতে চাইছে। মালদহ উত্তর, মুর্শিদাবাদ, শ্রীরামপুরের মতো কেন্দ্রে প্রার্থী তোলার বার্তাও নওসাদ সিদ্দিকীর দলকে দেওয়া হয়েছে সিপিএমের তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy