—প্রতীকী ছবি।
কলকাতা উত্তর লোকসভায় কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্যের মিছিলে হেঁটেছেন প্রবীণ সিপিএম নেতা বিমান বসু। পড়শি জেলা মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে বাম-কংগ্রেস একসঙ্গে প্রচার করছে। পশ্চিম বর্ধমানেও যৌথ প্রচারের সিদ্ধান্ত হয়েছে আগেই। কিন্তু বর্ধমান-দুর্গাপুরে সিপিএম প্রার্থী সুকৃতী ঘোষালের প্রচারে এখনও দেখা যায়নি কংগ্রেসকে। বর্ধমান পূর্বেও একাই প্রচার করছেন বাম প্রার্থী নীরব খাঁ। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দু’দলের জেলা নেতারা বৈঠক করেন। জানা গিয়েছে, ইতিবাচক বৈঠকে এ সপ্তাহ থেকেই একসঙ্গে জোরকদমে প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত রবিবার কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা নেতৃত্ব ও ব্লক সভাপতিদের নিয়ে জেলা কার্যালয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রতিটি ব্লক সভাপতি জানান, তাঁরা প্রদেশ কংগ্রেসের নির্দেশ মেনে সিপিএম প্রার্থীর হয়ে ভোট-প্রচারে নামতে চান। কিন্তু স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের কাছ থেকে ‘ডাক’ আসেনি। সিপিএম প্রার্থী তাঁদের এলাকা দিয়ে প্রচার করলেও তাঁরা কোনও ‘সৌজন্য’ দেখতে পাচ্ছেন না বলে দাবি করেন। ফলে, আগ বাড়িয়ে প্রচারে নেমে অপমানিত হতে চান না, জানান অনেকেই।জেলা কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “মান-সম্মান বজায় রেখে যৌথ প্রচারে আপত্তি নেই বলে ব্লকের নেতারা জানিয়েছেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদকের ফোন পেয়েছি। প্রচারে নামার আহ্বান জানিয়েছেন উনি।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেনও বলেন, ‘‘রাজ্যের বিভিন্ন আসনে সিপিএম-কংগ্রেস একত্রে লড়াই শুরু করেছে। এখানেও কোনও সমস্যা নেই।’’
জোটের বিরুদ্ধাচরণ করলে প্রদেশ কংগ্রেস কড়া ব্যবস্থা নেবে বলে বার্তা দিয়েছেন সভাপতি অধীর চৌধুরী। সমঝোতার প্রার্থীদের হয়ে ‘কাজ’ করার নির্দেশ দিয়েছেন কর্মীদের। বীরভূমে জোটের বিরুদ্ধাচারণ করায় সাত জনকে কংগ্রেস সাসপেন্ড করেছে। ফলে, যে টুকু শক্তি রয়েছে, তা সম্বল করেই পূর্ব বর্ধমানে সিপিএম প্রার্থীদের হয়ে প্রচার ও দেওয়াল লেখার জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সভাপতি। দলের কার্যকরী সভাপতি বুলবুল আহমেদের দাবি, প্রচারে সময় রয়েছে। যেহেতু ডাক এসেছে, আশা করা যায় যৌথ প্রচারে আর সমস্যা
থাকবে না।
এ দিনের বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেক বিধানসভা ধরে যৌথ কমিটি গড়া হবে। কবে, কোথায় প্রচার হবে তা নিয়ে আলোচনা হবে। দেওয়ালে ‘কংগ্রেস সমর্থিত বামফ্রন্ট প্রার্থী ’লেখার জন্য অনুরোধ করেছে কংগ্রেস। ঠিক হয়েছে, ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে দু’পক্ষই সচেষ্ট থাকবে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘‘বৈঠক হয়েছে। যেমন প্রয়োজন হবে, সব রকম ভাবে সাহায্য করব।’’ সৈয়দ হোসেনও বলেন, ‘‘অনেক জায়গায় স্থানীয় স্তরে কথা হয়েছে। প্রার্থীদের প্রচার কর্মসূচির তালিকা দেওয়া হয়েছে। ওঁরা সেই মতো এগিয়ে আসবেন।’’
পূর্বস্থলীতে প্রচারের ফাঁকে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের বাম প্রার্থী নীরব খাঁ বলেন, ‘‘আসন সমঝোতা হয়েছে। কংগ্রেস কর্মীদের বলছি, এগিয়ে আসুন। দ্বিধা-দ্বন্দ্ব না রেখে একসঙ্গে লড়াই করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy