চন্দ্রকোনা রোডে সিপিএমের দেওয়াল লিখন। নিজস্ব চিত্র ।
জোট চিন্তা কাটিয়ে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই প্রচার শুরু করল বামেরা।
রাজ্য রাজনীতিতে বাম-আইএসএফ জোট নিয়ে চর্চা চলছে বেশ কয়েকমাস ধরেই। সেই জল্পনার মধ্যেই কয়েকদিন আগে ঝাড়গ্রাম সহ রাজ্যের কয়েকটি আসনে এককভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে আইএসএফ। তাহলে কী ঝাড়গ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র এবার আইএসএফকে ছেড়ে দিল বামেরা? সেই প্রশ্নে তোলপাড় হচ্ছিল বামেদের অন্দরমহল। ধোঁয়াশায় ছিলেন কর্মীরাও। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে সিপিএম। প্রার্থী করা হয়েছে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের সোনামনি মুর্মু (টুডু)কে। তারপরই ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রের অন্তর্গত গড়বেতা ও শালবনি বিধানসভা এলাকায় দেওয়ালে দেওয়ালে প্রার্থীর নাম লিখে প্রচারে নেমে পড়েছেন বামফ্রন্ট বিশেষত সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা।
গড়বেতায় সিপিএম কর্মীরা প্রার্থীর নাম ফাঁকা রেখে ইতিমধ্যেই অনেক দেওয়াল লিখে ফেলেছিলেন। শনি ও রবিবার সেই সব ফাঁকা দেওয়ালে প্রার্থী সোনামণি মুর্মু (টুডু)র নাম লিখেছেন কর্মীরা। গড়বেতার এক সিপিএম নেতা মানছেন, "ঝাড়গ্রাম সংরক্ষিত কেন্দ্রে বরাবর আমরাই প্রার্থী দিই। এবার জোট হলেও নিশ্চিত ছিলাম আমাদের প্রার্থীই হবেন। আইএসএফ প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়ার পরে চিন্তা তো একটু ছিলই। দলের প্রার্থী ঘোষণা হওয়ায় সেটা কেটেছে। কর্মীরা প্রচারেও নেমে পড়েছেন।"
সিপিএমের গড়বেতা এরিয়া কমিটির সদস্য দেবু সিংহ, যুব নেতা সোহরাব আলিরা বলছেন, "এতদিন প্রার্থীর নাম ফাঁকা রেখেই দেওয়াল লিখেছিলাম। এবার প্রার্থীর নাম দিয়ে গড়বেতার প্রতিটি অঞ্চলে দেওয়াল লিখব। প্রচারও করব।" চন্দ্রকোনা রোডেও প্রার্থীর নাম লিখে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছেন বাম কর্মীরা। চন্দ্রকোনা রোড শহর এলাকা, শঙ্করকাটা, সাতবাঁকুড়া, ঘাগরা প্রভৃতি এলাকায় সেই কাজ চলছে। চন্দ্রকোনা রোডের সিপিএম নেতা চঞ্চল মণ্ডল বলেন, "দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই দেওয়াল লিখনের কাজ চলছে দ্রুততার সঙ্গে।" জঙ্গলমহল বলে পরিচিত গোয়ালতোড়েও দলীয় প্রার্থীর নাম দিয়ে দেওয়াল লেখার কাজ শুরু করেছেন সিপিএম কর্মীরা। দলের গোয়ালতোড়ের এরিয়া কমিটির সম্পাদক তপন পাল বলেন, "দেওয়াল লিখন চলছে। প্রচারের কাজও হচ্ছে।" সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির এক সদস্য বলছেন, "ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রের মানুষ তৃণমূল-বিজেপিকে দেখেছেন। মানুষের প্রকৃত সমস্যা মেটাতে কেউ এগিয়ে আসেনি। বিকল্প বামপন্থীরাই। তাই এবার সাড়া জাগিয়েই প্রচার শুরু হয়েছে।"
যদিও তৃণমূল ও বিজেপি কেউই বামেদের প্রচারকে আমল দিচ্ছে না। গড়বেতার তৃণমূল বিধায়ক উত্তরা সিংহ বলেন, "সিপিএম কোথায়! প্রচারে তো ওঁদের দেখতেই পাচ্ছি না।" বিজেপির ঝাড়গ্রাম সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি কবিতা দে বলছেন, "বামেদের দিন শেষ। তৃণমূলও শেষ হতে যাচ্ছে। বিকল্প এখন বিজেপি। তাই বিজেপির প্রচারে মানুষের ঢল নামছে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy