—প্রতীকী চিত্র।
তরুণ প্রজন্মকে সামনে রেখে এবার লোকসভা ভোটে লড়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে সিপিএম। সেইমত একেবারে বুথ স্তরে তৈরি হচ্ছে ‘বুথ সংগ্রাম কমিটি’। ভোটের দিন বুথ রক্ষা করাই হবে এই কমিটির প্রধান দায়িত্ব। পাশাপাশি প্রচার থেকে শুরু করে দলের সভা-সমিতিতেও সাধারণ মানুষকে নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও এই কমিটির সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে।
এই পরিকল্পনা অনুযায়ী জেলার প্রতিটি বুথেই তরুণ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বুথ সংগ্রাম কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। মূলত ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সের কর্মী-সমর্থকদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার থাকছে। জেলা সিপিএম নেতৃত্ব সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কমিটিগুলিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছাত্র ও যুব সংগঠনের সদস্যদের সংখ্যা বেশি থাকলেও এলাকার সাধারণ শ্রমজীবী যুবকদের অংশগ্রহণ যথেষ্ট সংখ্যায় থাকছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি বুথের জন্য কমিটির সদস্যদের নামের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদের ফোন নম্বরও সংগ্রহ করে তালিকা তৈরি করে জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হচ্ছে। ভোটের সময় সেই নম্বরেই জেলা নেতৃত্বের তরফে যোগাযোগ করে দলীয় নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি বুথে ন্যূনতম সাতজন করে সদস্য রাখা হচ্ছে। তবে কোথাও কোথাও সংখ্যাটা অনেক বেশি বলে দলীয় নেতৃত্বর দাবি। কোনও কোনও বুথে সংখ্যাটা একশো ছাড়িয়ে যাবে বলেও তাদের দাবি। বিশেষ করে কালীগঞ্জ, পলাশিপাড়া, তেহট্ট ও করিমপুর বিধানসভা এলাকার বুথগুলিতে যুবক-যুবতীদের মধ্যে বুথ সংগ্রাম কমিটির সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে বেশি উৎসাহ দেখা যাচ্ছে বলে জেলা সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে।
জেলা নেতৃত্বের কথায়, গত ভোটগুলির তুলনায় এবার দলে সামনে থেকে লড়াই করার জন্য অনেক বেশি সংখ্যক যুবক-যুবতীরা এগিয়ে আসছেন। বিশেষ করে সংখ্যালঘু এলাকায় ছাত্র-যুবদের পাশাপাশি সাধারণ যুবকরাও বুথ রক্ষায় এগিয়ে এসে সামনে থেকে লড়াই করতে চাইছেন। নেতৃত্বের দাবি, গ্রামে বেকার যুবক-যুবতীদের মধ্যে ভয় অনেকটাই ভেঙে গিয়েছে। বিশেষ করে ডিওয়াইএফ-এর ‘ইনসাফ যাত্রা’র পর সংখ্যাটা অনেকটাই বেড়েছে বলে। তাঁরা মনে করছেন, এবার লোকসভা ভোটে মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়ের ৫০ দিনের ‘ইনসাফ যাত্রা’ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে বুথ সংগ্রাম কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে। সিপিএম যে এবার লোকসভা ভোট তরুণ প্রজন্মকে সামনে রেখে করতে চাইছে তা এক প্রকার স্বীকারও করে নিয়েছেন জেলার নেতারা।
সিপিএমের নদিয়া জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুমিত বিশ্বাস বলেন, “আক্রমণের কারণে মাঝে সব বুথে কমিটি তৈরি করা যাচ্ছিল না। এবার প্রচুর সংখ্যক যুবক-যুবতী এগিয়ে আসছেন। এখনও পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি বুথেই আমরা এই কমিটি তৈরি করতে পেরেছি। যাঁরা ঘৃণা ও দুর্নীতির রাজনীতিকে প্রতিহত করতে
প্রস্তুত হচ্ছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy