দেওয়ালে চুণ দিচ্ছেন এক বাম কর্মী.কাশীপুরের তালাজুড়ি এলাকায়। নিজস্ব চিত্র।
বীরভূম জেলার দু’টি লোকসভা কেন্দ্রের জোট প্রার্থীর নাম ইতিমধ্যে ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও জেলার দেওয়ালগুলিতে তেমন ভাবে দেখা মিলছে না দুই প্রার্থী শ্যামলী প্রধান ও মিল্টন রশিদের নাম।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম জেলায় জোট বেঁধে লড়াই করার বিষয়ে সহমত হয়েছে সিপিএম ও কংগ্রেস। এক দিকে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী শ্যামলী প্রধানকে সম্পূর্ণ সমর্থনের বার্তা দিয়েছে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব, অন্য দিকে বীরভূমের লড়াই করার ইচ্ছে থাকলেও জোটের স্বার্থে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মিল্টন রশিদকে সমর্থন করা হবে বলে ঘোষণা করেছে সিপিএমও।
এদিকে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগে থেকেই দেওয়াল দখলের জন্য নামের জায়গা ফাঁকা রেখে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছে, অনেক জায়গায় দলের প্রতীক এঁকেও দেওয়াল দখল করেছে বিজেপি। অন্য দিকে, তৃণমূলের দেওয়াল লিখনের কাজও প্রায় শেষের দিকে। অলিতে গলিতে শতাব্দী রায় ও অসিত মালের সমর্থনে দেওয়াল লিখন করেছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। সেখানে প্রার্থী ঘোষণা হয়ে যাওয়া ও জোট বার্তা দেওয়ার পরেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুধুমাত্র সিউড়ি ও নলহাটির কয়েকটি জায়গা ছাড়া জেলার বেশির ভাগ দেওয়ালে এখনও চোখে পড়ছে না বাম-কংগ্রেস জোটের দুই প্রার্থীর নাম। মিল্টন এর আগে হাসন বিধানসভা ও শ্যামলী নানুর বিধানসভা থেকে জয়ী হয়েছিলেন। মূলত নিজেদের বিধানসভা এলাকা ছাড়া অন্যত্র দেওয়াল লিখনে বাকি দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় কয়েক যোজন পিছিয়ে বাম-কংগ্রেস জোট।
জানা যাচ্ছে, বোলপুরের বাম প্রার্থীকে কংগ্রেস কর্মীরা ও বীরভূমের কংগ্রেস প্রার্থীকে বাম কর্মীরা খুব একটা মেনে নিতে পারেননি। তাই দেওয়াল লিখনের উৎসাহে ভাটা। এই প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “জেলার কোন আসনে কোন দল প্রার্থী দেবেন, তা নিয়ে দীর্ঘদিন টানাপড়েন চলেছে। ফলে দুই দলের পক্ষে দেওয়াল দখলের ক্ষেত্রে আগ্রহে ঘাটতি ছিল। তবে জোটের প্রার্থীকে সমর্থন নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। টানাপড়েনের জন্য অনেকটা সময় চলে গিয়েছিল। দেওয়ালে দেওয়ালে প্রার্থীর নাম লেখার কাজ শুরু হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই অনেকটা এগিয়ে যাবে।”
কংগ্রেসের জেলা কার্যকরী সভাপতি চঞ্চল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দেওয়াল লিখনের ক্ষেত্রে নানা সরকারি বিধিনিষেধ আছে। অন্য রাজনৈতিক দল সেসব না মানলেও সমস্যা হচ্ছে না, কিন্তু আমাদের সব মেনেই কাজ করতে হচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের দলীয় প্রতীক আঁকার জন্য শিল্পীদেরও সব সময় পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আমরা কাজ শুরু করেছি। দেওয়ালে চুনকামের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। কিছু জায়গায় দেওয়াল লিখনের কাজ শুরুও হয়েছে। বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়েই আমরা কাজ করব।”
তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “দুই দলেরই কোনও জনভিত্তি নেই। একে-অন্যকে আঁকড়ে ধরে ভেসে থাকার চেষ্টা করছে। সেখানেও জট! ওদের দেওয়াল লিখনের লোক ও মানসিকতা কোনওটাই নেই। আসলে দু’দলই বুঝেছে, বীরভূমের দু’টি আসনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত।”
বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বাবন দাস বলেন, “সুপার কম্পিউটারের যুগে রেডিয়ো নিয়ে আলোচনার কোনও মানে হয় না। বাম-কংগ্রেস দু’টি অপ্রাসঙ্গিক রাজনৈতিক দল। ওরা দেওয়াল লিখল কি না, তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy