—প্রতীকী চিত্র।
জেলায় বিধানসভা রয়েছে ১৬টি। সেগুলির মধ্যে কিছু রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের দু’টি লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে। বাকিগুলি বীরভূমের বোলপুর ও বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের আওতায়। এ দিকে, ওই চারটি কেন্দ্রের একটিতেও কংগ্রেসের প্রার্থী নেই। কংগ্রেস সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এ নিয়ে দলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। বামপ্রার্থীদের হয়ে প্রচারে নামা নিয়েও রয়েছে বিভ্রান্তি।
সিপিএম প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচার শুরু করে দিলেও তাতে তাঁদের ডাকা হচ্ছে না বলে অভিযোগ কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের একাংশের। কোথাও যৌথ প্রচার চোখে পড়ছে না। কংগ্রেস কর্মীদের দাবি, সিপিএম প্রার্থীর সমর্থনে তাঁরা প্রচারে নামবেন, না কি, দুই কেন্দ্রে দল আলাদা প্রার্থী দেবে, তা নিয়ে নিচুতলায় কোনও বার্তা এখনও আসেনি। সে কারণে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন কর্মীরা। কংগ্রেস সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে আগামী রবিবার দলের ব্লক সভাপতি এবং কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক হবে। সেখানেই ভোটে প্রচারে নামার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। যদিও সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, রাজ্যস্তরে বাম-কংগ্রেস আসন রফা চূড়ান্ত হলেই জেলায় ‘তৃণমূল-বিজেপি বিরোধীদের’ সঙ্গে আলোচনা হবে।
বৃহস্পতিবার পূর্বস্থলীর এক কংগ্রেস কর্মী বলেন, ‘‘অন্য দলগুলি প্রচারে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। আমরা কবে নামব? দলের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।’’ বর্ধমানের বাসিন্দা রাজ্য কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা এআইসিসির সদস্য অভিজিৎ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, রাজ্যের ৪২টির প্রতিটি কেন্দ্রেই তিন জন প্রার্থীর নাম মাস দু’য়েক আগে এআইসিসি’র কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। কোন কেন্দ্রে কী ভাবে লড়াই হবে তা জানাবে এআইসিসি। চাইলে যে কোনও কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম যে কোনও সময় ঘোষণা করে দিতে পারে এআইসিসি। জোট গড়ে লড়াই হবে, না কি, জেলার দুই কেন্দ্রেই দলের প্রার্থী থাকবে, তা ঘোষণা হলেই কর্মীরা প্রচারে নেমে পড়বেন।
সিপিএম জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন, “দ্রুত আলোচনা করে জেলার ১৬টি বিধানসভাতেই প্রচারে নামার কথা বলব।” সিপিএম সূত্রে জানা যায়, ২২ এপ্রিল জেলার দু’টি আসনে মনোনয়ন জমা দেবেন প্রার্থীরা। বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা এক জোট হয়েই প্রার্থীদের নিয়ে সে দিন মিছিল করে মনোনয়ন কেন্দ্রে যাবেন বলে তাঁরা আশা করছেন। যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মিঠুন সরকারের ক্ষোভ, “জেলায় দু’টি আসনই কিসের স্বার্থে সিপিএমকে ছাড়া হল? বাম নেতৃত্ব এখনও পর্যন্ত কেন আলোচনা করলেন না? মুর্শিদাবাদ ও অন্য জেলায় কংগ্রেস নেতৃত্ব বামেদের সঙ্গে আলোচনা করে এগোচ্ছেন। বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের রূপরেখা তৈরি করছেন। অথচ আমাদের জেলায় বাম নেতৃত্ব দূরত্ব বজায় রাখছেন।” কাটোয়ার কংগ্রেসের পুর-প্রতিনিধি রণজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দলের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রবীর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ব্লক ও মহকুমা নেতৃত্বের সঙ্গে রবিবার বৈঠক হবে। সেখানে আমরা ইন্ডিয়া জোটকেই সমর্থন করার কথা বলব।” তিনি জানান, বেশ কিছু দেওয়াল তাঁদের দখলে রয়েছে। বৈঠকের পরে সেগুলিতে লেখা শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy