—প্রতীকী চিত্র।
উড়ল ড্রোন। বুথে বুথে পাহারায় রইল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সকাল থেকে বুথগুলিতে ভোট দিতে লাইনও পড়ল বিশাল।প্রায় বিরোধী শূন্য গিরিয়ায় মঙ্গলবার ভোট হল শান্তিতেই। তবে কংগ্রেস ও বিজেপি একে বলছে ‘শ্মশানের শান্তি’।
তাদের দাবি, সকাল থেকে সেখানে কংগ্রেসের এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি প্রায় কোনও বুথেই। খবর পেয়ে সাতসকালে সেখানে ছুটে গিয়েছেন জঙ্গিপুরের কংগ্রেস প্রার্থী মুর্তজা হোসেন। তাতেও কাজ হয়নি বলে দাবি।মুর্তজার অভিযোগ, “বলেও কিছু হয়নি। গোটা চারেক বুথে এজেন্ট ঢোকানো গেলেও বাকি সব বুথ রইল বিরোধী এজেন্ট শূন্য। তবু ভোট হয়েছে ভাল।”
প্রায় বেশির ভাগ বুথেই শান্তির ভোট হল নির্বিঘ্নে, বিরোধীদের এজেন্ট ছাড়াই। সেকেন্দ্রায় অবশ্য বিরোধীদের এজেন্ট মেলেনি ৭-৮টি বুথে। তবু ‘ঘাস ফুলের মুক্তাঞ্চল’ গিরিয়া ও সেকেন্দ্রায় ভাল ভোটের ভরসা খুঁজছেন কংগ্রেস প্রার্থী মুর্তজা হোসেন।
রঘুনাথগঞ্জ বিধানসভার ওই দুই পঞ্চায়েতের ৩৭টি বুথ নিয়ে এ বারেও সন্ত্রাসের আশঙ্কা করেছিল বিরোধীরা। ভোট শেষের পরে জঙ্গিপুরের কংগ্রেস প্রার্থী মুর্তজা বলছেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথে থাকায় সরাসরি সন্ত্রাসের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তৃণমূল। আতঙ্ক কিছুটা কাটিয়ে মানুষ ভোট দিয়েছেন। এর ফলে এজেন্ট সর্বত্র না দিতে পারলেও কংগ্রেস ভাল সংখ্যাতেই ভোট পাবে সেখানে।”
ভোট হয়েছে শান্তিতে মানছেন এলাকার বাসিন্দা তৃণমূলের প্রাক্তন এক ব্লক সভাপতিও। তিনি বলছেন, “দুই পঞ্চায়েতেই তৃণমূলের লিড থাকবে ভালই।”
বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া পদ্মা পাড়ের দুই গ্রাম পঞ্চায়েত গিরিয়া ও সেকেন্দ্রা। হাজার ৩২ ভোট রয়েছে দুই পঞ্চায়েত মিলিয়ে। ভালই ভোট পড়েছে দুই পঞ্চায়েতেই। প্রতিবার সেখানে ভোট পড়ে প্রায় ৮৫ শতাংশ। কোনও কোনও বুথে তা আরও বেশি। রাজ্যে যে যখন ক্ষমতায় তখন তার দখলে থেকেছে গিরিয়া। শাসকের মুক্তাঞ্চল হিসেবেই ভোট ব্যাঙ্ক বাড়িয়েছে এই দুই পঞ্চায়েত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy