Advertisement
Back to
Lok Sabha Election 2024

পুকুর ধারে মাছ ধরায় ‘ক্লোজ়’ এনভিএফ কর্মী

বৃহস্পতিবার দুপুরে বেশ কয়েক জন ব্যক্তি তাঁদের মোবাইল ফোনে ওই ঘটনার ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) তোলেন। খবর পৌঁছয় রায়গঞ্জ থানায়।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

গৌর আচার্য 
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৪ ০৮:১৪
Share: Save:

দিন কয়েক আগে, রায়গঞ্জ পলিটেকনিক কলেজের স্ট্রংরুমে একাধিক সিসি ক্যামেরা অচলের অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছিল। বিজেপির তরফে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগও জানানো হয়। তার রেশ কাটার আগেই এ বারে স্ট্রংরুমের বাইরের চত্বরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এনভিএফ কর্মীর বিরুদ্ধে কর্তব্যরত অবস্থায় সেখানকার একটি পুকুরে মাছ ধরার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বেশ কয়েক জন ব্যক্তি তাঁদের মোবাইল ফোনে ওই ঘটনার ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) তোলেন। খবর পৌঁছয় রায়গঞ্জ থানায়। পুলিশ সূত্রের খবর, এর পরে রায়গঞ্জ থানার সাব ইনস্পেক্টর মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসের নেতৃত্বে পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে মাছ ধরতে দেখেন। তাঁরা তাঁকে সতর্ক করে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান। রায়গঞ্জ পুলিশ-জেলার সুপার মহম্মদ সানা আখতার ফোন ধরেননি। মোবাইল বার্তায় তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ডিএসপি (রায়গঞ্জ) সুরজ ঠাকুরি বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”জেলা পুলিশ সূত্রের দাবি, ওই ঘটনার পর ওই এনভিএফ কর্মীকে সেখানকার ডিউটি থেকে ‘ক্লোজ়’ করে অন্যত্র পাঠানো হয়েছে।

এ দিকে, ঘটনার খবর জানার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হন উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত ও রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আলি ইমরান রম‌্জ (ভিক্টর)। মোহিতের ফোন থেকে ওই মাছ ধরার ভিডিয়ো (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) সমাজ মাধ্যমে ‘পোস্ট’ করা হয়। যদিও পরে তা তুলে নেওয়া হয়। জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, ওই ভিডিয়োর জন্য ওই এনভিএফ কর্মী সাসপেন্ড বা তাঁর চাকরির ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কায় পুলিশের একাংশের অনুরোধে তা তুলে নেওয়া হয়। মোহিতের বক্তব্য, “শুধু ওই ব্যক্তিকে দোষ দিয়ে কী লাভ? রাজ্য জুড়ে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার জেরে অপরাধ বাড়ছে। সর্বত্র পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করা ছাড়া নিষ্ক্রিয় থাকছে।” ভিক্টরের বক্তব্য, “স্ট্রংরুমের বাইরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নজরদারি না করে রাইফেল রেখে উনি মাছ ধরছেন। এ সব কারণেই রাজ্যের কোনও ভোটে আমরা রাজ্য পুলিশের বদলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি তুলি।” জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের দাবি, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। দলের তরফে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2024 NVF Strong Room
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy