—প্রতীকী চিত্র।
মঙ্গলবার ভোটগণনার আগেও অশান্তি ভাঙড়ে। সেখানে দুই তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে আইএসএফের বিরুদ্ধে। পাল্টা আইএসএফের দাবি, তাদেরও এক কর্মীকে মারধর করেছে শাসকদলের লোকেরা। রবিবার রাতে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবার তপ্ত ভাঙড়।
ভাঙড় যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। গত ১ জুন সেখানে ভোট ছিল। ভোটের দু’দিন আগেই তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা মারার অভিযোগ উঠেছিল আইএসএফের বিরুদ্ধে। তাতে এক শিশু ও পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ১০-১২ জন জখম হয়েছিলেন বলে দাবি। ভোটের দিনেও এর ব্যত্যয় হয়নি! ভাঙড় ২ ব্লকের সাতুলিয়ায় তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ হয়েছে। ফুলবাড়িতেও অশান্তি হয়েছে। এ বার ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র অভিযোগ উঠল ভাঙড়ের উত্তর কাশীপুর থানার মাঝেরহাট এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাঝেরহাট এলাকার কয়েক জন তৃণমূল কর্মী পিকনিক থেকে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয় আইএসএফ। তা নিয়ে দু’পক্ষের বচসার সময় দুই তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত কর্মীদের জিরেনগছা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা লোকমান মোল্লার নেতৃত্বে দলীয় কর্মীরা কাশীপুর থানায় যান।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, থানার সামনে আইএসএফের এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। পরে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনায় এক জনকে আটক করা হয়েছে।
তৃণমূল নেতা জহিরুল মোল্লা বলেন, ‘‘আইএসএফের পায়ের তলায় মাটি নেই। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কর্মীরা মানুষের সঙ্গে ছিল। মানুষও তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। হারার ভয়ে এই হামলা।’’ আইএসএফ নেতা ও যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী নুর আলম খান পাল্টা বলেন, ‘‘এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। এর সঙ্গে আইএসএফের কোনও যোগাযোগ নেই। আরাবুল গোষ্ঠী ও শওকত মোল্লা গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা। আমাদের কাছে ভিডিয়ো আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy