নানুরে ভোটের প্রচারে বোলপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মাল। — নিজস্ব চিত্র।
নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরে প্রথম রবিবার। এখনও সিপিএম, কংগ্রেস কোনও কেন্দ্রেই প্রার্থী ঘোষণা করেনি। বিজেপি এখনও বীরভূম কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম জানায়নি। ফলে, সে ভাবে জমে উঠল না প্রথম রবিবাসরীয় প্রচার। তবে এ দিন কর্মী সম্মেলন, জনসংযোগ, বাড়ি বাড়ি প্রচারে দিনভর ব্যস্ত থাকলেন ঘোষিত প্রার্থী ও তাঁদের অনুগামীরা।
বোলপুরের বিজেপি ও তৃণমূল দু’দল প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তৃণমূলের প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ অসিত মালই। তিনি এ দিন সকালেই প্রচারে বেরিয়ে পড়েন। সঙ্গে ছিলেন বীরভূমের জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ ও নানুরের তৃণমূল বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি।
এ দিন সকাল নানুরের বড়া সাঁওতা গ্রামে একটি কর্মিসভার মধ্য দিয়ে অসিতের প্রচার শুরু হয়। এর পর সেখান থেকে নানুর বাস স্ট্যান্ড-সহ আশপাশের এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থীকে।
দুপুরের দিকে বোলপুর লোকসভার মঙ্গলকোট এলাকায় প্রচার সারেন অসিত। অসিত বলেন, ‘‘প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরেই প্রচার শুরু করেছিলাম। নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরে হাতে খুব বেশি সময় না থাকায় পুরোদস্তুর প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়তে হচ্ছে সকলকেই।’’
অন্য দিকে, বোলপুর কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী পিয়া সাহা এ দিন সকালে থেকে লাভপুর, কীর্ণাহার এলাকায় সাংগঠনিক বৈঠক ও জনসংযোগ সারেন।
বিকেলে বোলপুর শহরে বিজেপির কার্যকর্তাদের সঙ্গে আগামী প্রচার কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক করেন পিয়া। পিয়া বলেন, “হাতে আর একেবারেই সময় নেই। কী ভাবে প্রচার চালানো হবে তা সবই এ দিন বৈঠকের মাধ্যমে ঠিক করা হবে।” এ দিন অবশ্য বোলপুরে সিপিএম বা কংগ্রেসের কোনও প্রচার সে ভাবে চোখে পড়েনি। তাদের প্রার্থীও ঘোষণা হয়নি এখনও।
বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে এখনও শুধু তৃণমূলই প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এখানেও প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ শতাব্দী রায়। শনিবারের পর এ দিনও ঠাসা কর্মসূচি ছিল শতাব্দীর। রাজনগর ও দুবরাজপুর দু’টি জায়গায় কর্মিসভা করেন তিনি। তাঁর সঙ্গী ছিলেন জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী।
রাজনগরের চন্দ্রপুর কর্মিসভা দিয়ে দিন শুরু করেন শতাব্দী। সূত্রের খবর, গোটা ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের সব বুথ কমিটির সঙ্গে এই বৈঠক ছিল। প্রতিটি বুথের সংগঠনের খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি সকলকে মিলিত ভাবে শাসকদলকে জেতানোর জন্য ঝাঁপাতে বলেন শতাব্দী।
রাজনগর থেকে বিকাশ ও শতাব্দী দুবরাজপুরে আসেন। প্রসঙ্গত, শনিবার থেকে টানা তিন দিন দুবরাজপুরে সংগঠন মজবুত করার কর্মসূচি নিয়েছে শাসকদল। এ দিন যশোপুর, লোবা এবং পদমা— এই তিনটি অঞ্চলের বুথ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন শতাব্দীরা। পরে দুবরাজপুর শহরের নেতা, কর্মীদের নিয়েও বৈঠক করেন তাঁরা। সঙ্গে ছিল জনসংযোগও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy