আহতদের দেখতে হাসপাতালে মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।
গত সোমবার ভোটগ্রহণের দিন হুগলির বলাগড় ব্লকের চর কৃষ্ণবাটী পঞ্চায়েতের চর রামপুর গ্রামে তৃণমূল সমর্থক দুই মহিলা আক্রান্ত হন। এক জনের হাতে হাঁসুয়ার কোপ মারা
হয়। বিজেপির লোকেরা ওই ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ তৃণমূলের। অভিযুক্ত দুই বিজেপি সমর্থককে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত মন্টু মজুমদার ও কাঞ্চন বারুলিকে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে খবর, ছ’জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ধৃতদের নাম এফআইআরে রয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, বাকিরা পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাদের কর্মী-সমর্থকদের
ফাঁসানো হচ্ছে।
প্রহৃত মহিলাদের নাম অপর্ণা বিশ্বাস এবং সঞ্চিতা মণ্ডল। হাঁসুয়ার কোপ লাগে অপর্ণার হাতে। সোমবার দু’জনেরই প্রাথমিক চিকিৎসা হয় জিরাট আহমেদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। বাড়ি ফিরে দু’জনেই অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার পূর্ব বর্ধমানের কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার অপর্ণার হাতে এক্স-রে এবং সঞ্চিতার মাথায় সিটি স্ক্যান করা হয়। এ দিন হাসপাতালে তাঁদের দেখতে যান পূর্বস্থলী দক্ষিণের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এবং বলাগড়ের ব্লক নেতারা।
মন্ত্রীর অভিযোগ, তৃণমূলকে ভোট দেওয়ায় দলের দুই মহিলা কর্মীর উপরে হামলা চালায় বিজেপির লোকজন। ধারালো অস্ত্রের কোপে হাত কেটে নেওয়ার চেষ্টা হয় অপর্ণার। তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। আঘাত করা হয়েছে শরীরের নানা স্থানে। সঞ্চিতার আঘাত বেশি মাথায়। মন্ত্রী বলেন, ‘‘হামলার ধরন দেখেই বোঝা যাচ্ছে বিজেপি কত হিংস্র হয়ে উঠেছে!’’
অভিযোগ মানেনি বিজেপি। বলাগড়ের বিজেপি নেতা সুজয় বিশ্বাসের দাবি, ‘‘ওই দুই মহিলা এলাকার অনেক মহিলাকেই ভোট দিতে যাওয়ার সময় পথ আটকে জিজ্ঞাসা করছিলেন, তাঁরা কাকে ভোট দেবেন। ভোট দিয়ে ফেরার সময় জিজ্ঞাসা করছিলেন, কোন দলকে ভোট দিয়েছেন। তাঁদের হুমকিও দেন। তার পরেই দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি বাধে। কিন্তু যাঁদের নামে এফআইআর করা হয়েছে, তাঁরা কেউ ঘটনায়
জড়িত নন। বিজেপিকে টার্গেট করে মামলা দেওয়া হয়েছে।’’ অপর্ণা পাল্টা দাবি করেছেন, ‘‘বিজেপি আমাদের নামে মিথ্যে বলছে। ওরাই
হামলা করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy