—প্রতীকী চিত্র।
সংগঠনিক ভিত শক্ত না হলেও, গত লোকসভা ভোটে বিজেপি ভোটবাক্স ভরিয়ে দিয়েছিল কেতুগ্রাম ২ ব্লক। বিধানসভা ভোটে তা ধরে রাখতে পারেনি গেরুয়া শিবির। এ বার ভোটে কেতুগ্রাম ২ ব্লকে বিজেপি বাড়তি নজর দিলেও হারানো ভোট পদ্ম-শিবিরে ফিরবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তৃণমূল ও বাম শিবিরের দাবি, এ বার গত ভোটের পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
একদা কেতুগ্রাম ছিল সিপিএমের গড়। ক্ষমতার পালাবদলের পরে বামেরা ক্ষয়িষ্ণু শক্তিতে পরিণত হয়। এখন গোটা বিধানসভা এলাকায় ‘শেষ কথা’ বলে তৃণমূল। কেতুগ্রাম বিধানসভায় রয়েছে দু’টি ব্লক। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেতুগ্রাম ১ ব্লকে বিজেপির প্রভাব কার্যত নেই বললেই চলে। কিছু এলাকায় সিপিএমের পতাকা উড়তে দেখা যায়। অন্য দিকে, গত লোকসভা ভোটের পরে কেতুগ্রাম ২ ব্লকে বিজেপির প্রভাব বেড়েছিল। বিধানসভা ভোটের পরে তা কমতে থাকে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে মানুষ গোটা কেতুগ্রামে বিজেপিকেই বেছে নেবে লোকসভা ভোটে।
লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে কেতুগ্রাম ২ ব্লকে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে বিজেপি। দলীয় সূত্রে খবর, প্রত্যেক দিন দলীয় নেতৃত্ব তিন-চারটি অঞ্চলে বৈঠক করছেন। কর্মীদের চাঙ্গা করতে চাইছেন। বুথ কমিটি শক্তিশালী করা এবং ভোটের দিন কর্মীরা যাতে মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকেন, তা নিশ্চিত করতে জেলা নেতৃত্ব নানা পরামর্শ দিচ্ছেন ব্লক নেতাদের। কর্মীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে ভোটপ্রচারে বেরোচ্ছেন।
কেতুগ্রাম বিধানসভাটি বীরভূমের বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। কেতুগ্রাম ১ এবং ২ ব্লক ছাড়াও, কাটোয়া ১ ব্লকের শ্রীখণ্ড ও কোশিগ্রাম পঞ্চায়েতও ওই লোকসভা কেন্দ্রের অধীন। ওই এলাকাগুলিতে ২৯৪টি বুথ রয়েছে। গত বিধানসভা ভোটে সিংহ ভাগ বুথেই তৃণমূল এগিয়ে ছিল। তবে গত লোকসভা নির্বাচনে কেতুগ্রাম ২ ব্লকে বেশির ভাগ বুথে তৃণমূলের থেকে বেশি ভোট পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, কেতুগ্রাম ১ ব্লক এলাকায় বিজেপি পিছিয়ে পড়ে। এই ব্লকে সংখ্যালঘু ভোট অনেক বেশি।
বিজেপি সূত্রের খবর, ভোটের ফল বিশ্লেষণ করে লোকসভা ভোটে দলীয় প্রার্থী পিয়া সাহার সমর্থনে কেতুগ্রাম ২ ব্লক ও কাটোয়ার শ্রীখণ্ড ও কোশিগ্রাম অঞ্চলে প্রচারে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি প্রার্থী শ্রীখণ্ড, কোশিগ্রাম, অট্টহাস, নবগ্রাম, কেতুগ্রাম ও বিল্বেশ্বর গ্রামে ভোটপ্রচার করেছেন।
কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরি পঞ্চায়েতের বন্দর গ্রামের বাসিন্দা দিবাকর ঘোষ বলেন, “কেতুগ্রাম ২ ব্লকে বিজেপির প্রভাব রয়েছে। গত লোকসভা ভোটে এখানে বিজেপি এগিয়েছিল। তৃণমূল ও সিপিএমের থেকে সাংগঠনিক শক্তিতে বিজেপি অনেক পিছিয়ে থাকলেও, এ বারও লোকসভায় ওরা ভাল ভোট পাবে বলে মনে হচ্ছে।”
বিজেপির বোলপুর জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক, কেতুগ্রামের নেতা অটল বালার দাবি, “কেতুগ্রাম ২ ব্লকে আমাদের ফল আরও ভাল হবে। কেতুগ্রাম ১ ব্লকে সংখ্যালঘুরাও আমাদের ভোট দেবেন। ওঁরা বুঝেছেন, তৃণমূল শুধু ওঁদের ব্যবহার করে। প্রত্যেক দিন ৩-৪টি অঞ্চল বৈঠক করছি। জোর দিচ্ছি জনসংযোগে।’’
কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ সাহনেওয়াজের মন্তব্য, “আমরা সারা বছর মানুষের পাশে থাকি। উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতেই বিরোধীদের ছুড়ে ফেলে দেবেন মানুষ। বিজেপি যতই চেষ্টা করুক, কোনও কাজ হবে না।” সিপিএমের বক্তব্য, বিজেপি ও তৃণমূল যে একই মুদ্রার দুই পিঠ, তা বুঝে গিয়েছেন সবাই। এ বার মানুষের সমর্থন যাবে বাম-কংগ্রেসজোটের পক্ষে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy