—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, উত্তর দিনাজপুরে বিজেপির অন্দরে পাল্লা দিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ। এ বারে জেলার বিজেপির ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতা-নেত্রীদের একাংশ গোপন বৈঠক করলেন। রবিবার, রায়গঞ্জের ছটপড়ুয়ায় রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা দ্বারিকানাথ বর্মণের বাড়িতে ওই বৈঠক হয়। বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারকে পদ থেকে সরানোর ও লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে দেবশ্রীর বদলে জেলার বাসিন্দা কাউকে প্রার্থী করার দাবিতে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেন বিক্ষুব্ধরা। এ দিনের ওই বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি বীণা ঝাঁ ও দল থেকে বহিষ্কৃত দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী। এ বিষয়ে বাসুদেবের পাল্টা দাবি, বীণা গত পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় দলের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। বিশ্বজিৎকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁরা কী করছেন, তা নিয়ে দলের কোনও মাথাব্যথা নেই। সাংসদ দেবশ্রীরও দাবি, যাঁরা দলের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাঁদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।
বিক্ষুব্ধদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসুদেব ও দেবশ্রীর অনুগামীরা যাতে এ দিনের বৈঠক ভেস্তে দিতে না পারেন, সেই কারণে বৈঠক কোথায় হবে, তা গোপন রাখা হয়েছিল। বৈঠকের পর বীণা বলেন, “বাসুদেববাবুকে বেআইনিভাবে দলের জেলা সভাপতির পদে বসানো হয়েছে। জেলায় বিজেপির বেশিরভাগ নেতা ও কর্মীরা বহিরাগত দেবশ্রীকে আগামী লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে দলের প্রার্থী হিসেবে মানতে পারছেন না।” বীণার দাবি, বাসুদেবকে পদ থেকে সরানোর ও লোকসভা ভোটে দেবশ্রীর বদলে জেলার ভূমিপূত্র কিংবা ভূমিকন্যাকে বিজেপির প্রার্থী করার দাবিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর তাঁরা জেলার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে পদযাত্রা ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন। এর পরেও দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁদের দাবিপূরণ না করলে বিক্ষুব্ধরা রায়গঞ্জে দলের জেলা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ ও প্রয়োজনে আমরণ অনশন কর্মসূচি করবেন।
বীণার কথায়, “তার পরেও দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নিশ্চুপ থাকলে জেলা বিজেপির মহিলা নেত্রী ও কর্মীরা দলের জেলা কার্যালয়ের সামনে মাথা ন্যাড়া করতে বাধ্য হবেন। আমরা সকলে বাসুদেব ও দেবশ্রীর উপরে বীতশ্রদ্ধ হয়ে, বিক্ষুব্ধ হলেও দলেরই সৈনিক, সেটা মানতে হবে।” বাসুদেব বলেন, “বিজেপির নাম করে যাঁরা এ দিন বৈঠক করেছেন, তাঁদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। দলে স্বার্থসিদ্ধি করতে না পেরে, তাঁরা আমার ও দেবশ্রীদির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে বিরোধীদের হাত শক্ত করছেন। ওঁরা যা খুশি আন্দোলন করতে পারেন। তাতে দলের কোনও মাথাব্যথা নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy