বাঁ দিক থেকে জয়ন্ত রায়, রাজু বিস্তা, কার্তিকচন্দ্র পাল। নিজস্ব চিত্র।
পুরনো চাল না কি ভাতে বাড়ে! প্রার্থী চয়নে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি আসনে বিজেপি সেই পথেই হাঁটলেও ব্যতিক্রম রাখল রায়গঞ্জে। যদিও আলিপুরদুয়ারের পথে হেঁটে তিনটি কেন্দ্রেই প্রার্থী বদলের সম্ভাবনা প্রথম থেকে তৈরি হয়েছিল। দলীয় সূত্রের খবর, জয়ন্ত রায়, রাজু বিস্তা এবং দেবশ্রী চৌধুরীকে বদলে নতুন মুখ আনার কথাও ঠিক হয়। জলপাইগুড়ির জন্য এক খেলোয়াড়, দার্জিলিঙের জন্য প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার নামও ভেসে ওঠে। রায়গঞ্জে খোঁজ শুরু হয় ‘ভূমিপুত্রে’র। রবিবার রাতে তালিকা প্রকাশের পর দেখা গেল, জয়ন্ত এবং রাজু থেকে গেলেন নিজেদের কেন্দ্রেই। দেবশ্রী ফিরলেন উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায়।
বিজেপি সূত্রের খবর, দার্জিলিঙের প্রাক্তন বিদেশ সচিবের নামে সিলমোহর প্রায় পড়েই গিয়েছিল। রাজু বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের কথাও বলা হয়। কিন্তু রাজুর হয়ে রাজ্য, জেলা এবং যুব মোর্চার তদ্বির কাজে লেগে যায়। রাজু বিস্তা টিকিট না পেলে অন্য দলের প্রার্থী হবেন বলেও শোনা যায়। এমনকি, দার্জিলিঙের বিধায়কও বিস্তাকে না দিলে ভোটে লড়বেন বলেন। শেষে, বিভিন্ন মহলের চাপে জেরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আর নাম বদল করেননি। রাতে ঘোষণার পরে সেই বিধায়ক নীরজ জিম্বার নাচের ছবি সামজিক মাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হয়। তবে কাঁটা কিছুটা হলেও রয়ে গেল। রাজু বিস্তার নাম ঘোষণার পরেই বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা হিসাবে পরিচিত কার্শিয়াঙের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করার ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি ভূমিপুত্র প্রার্থীর দাবি বরাবর করে এসেছি। রাজু বিস্তা হলে আমি দাঁড়াব তা আগেই বলেছি। দল এই নিয়ে কী করবে তা দলের বিষয়।’’ আর তা হলে বিজেপির পাহাড়ের ভোট ভাঙবে তা পরিষ্কার। জলপাইগুড়িতে আবার প্রথমে আপত্তি ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের। দলের একাংশও আপত্তি জানিয়েছিল জয়ন্ত রায়ের ব্যাপারে। কারণ, সে ভাবে তাঁকে না কি কর্মসূচিতে পাওয়া যায় না। তবে মাত্র দিন তিনেক আগেই জয়ন্ত রায় এবং জেলা নেতৃত্বকে বিজেপি জানিয়ে দিয়েছিল প্রার্থীপদ চূড়ান্ত হওয়ার কথা। সেই মতো নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে মনোনয়নের নথি তৈরি করে রেখেছিলেন জয়ন্ত। শনিবার রাতে জয়ন্তকে প্রচার শুরু করতেও বলে দিয়েছিল বিজেপি। সেই মতো এ দিন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে নির্বাচনী কার্যালয়ও উদ্বোধন করেন জয়ন্ত। তিনি জানান, আগামী মঙ্গলবার জনাকয়েক গিয়ে মনোনয়ন দেবেন। বুধবার মনোনয়নের শেষ দিনে মিছিল করে বাকি নথিপত্র জমা দেওয়া হবে।
একমাত্র রায়গঞ্জেই পুরনো সাংসদের উপর ভরসা রাখেনি দল। তাঁকে কলকাতা দক্ষিণ আসনে দাঁড় করানো হয়েছে। মাস দু’য়েক আগে দেবশ্রী চৌধুরীর বদলে জেলার কোনও ‘ভূমিপূত্র’ কিংবা ‘ভূমিকন্যা’কে প্রার্থী করার দাবিতে রায়গঞ্জ শহরে ‘দণ্ডীযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী ও তাঁর অনুগামীরা। এর পরেই বিশ্বজিৎকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিজেপি। কয়েকদিন আগে রায়গঞ্জে বিজেপির জেলা কার্যালয়ের সামনে পর পর দু’দিন অবস্থান বিক্ষোভ হয়। এ দিন কার্তিক পালকে প্রার্থী করার পর খুশি বিজেপি শিবির।
তথ্য সহায়তা: অনির্বাণ রায়
ও গৌর আচার্য
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy