অগ্নিমিত্রা পাল এবং জুন মালিয়া। —ফাইল চিত্র।
দুই দলের দুই বিধায়ক এ বার মেদিনীপুরের সাংসদ হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। তবে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের দাবি, তিনি তৃণমূলের জুন মালিয়াকে প্রতিদ্বন্দ্বী বলেই ভাবেন না। তাঁর লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষ, ‘‘আসানসোলের মানুষের জন্য কিছুই করেননি। তাই ওখানে প্রার্থী না হয়ে মেদিনীপুরে এসেছেন। কিন্তু মেদিনীপুরের মানুষ ওই ফাঁদে পা দেবেন না।’’
মঙ্গলবার মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা প্রথম দিন প্রচার করতে আসেন। প্রথমেই কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। তার পর সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর মন্তব্য, ‘‘জুনের সঙ্গে লড়াই নেই। লড়াই হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি এবং আদর্শের বিরুদ্ধে।’’ পাশাপাশি দলের রিপোর্ট কার্ড দেখে অগ্নিমিত্রার দাবি, মেদিনীপুরে তাঁদের সংগঠন মজবুতই আছে।
বস্তুত, তৃণমূল মেদিনীপুরের বিধায়ক জুনকে লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করার পর তাঁকে দুই লক্ষ ভোটে হারানোর হুঁশিয়ারি দেন বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ। যদিও শেষমেশ মেদিনীপুর থেকে টিকিট পাননি তিনি। দিলীপ এ বার বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী। কিন্তু মেদিনীপুরে সাংসদের নাম অন্য কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা হওয়ার পর কিছুটা ‘মুষড়ে পড়তে’ দেখা যায় তাঁর অনুগামীদের। এ নিয়ে অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘‘দিলীপদার হাত ধরেই তো আমার রাজনীতিতে আসা। দিলীপদার সঙ্গে কথা হয়েছে। ওখানে ১৩ মে ভোটের পর উনি মেদিনীপুরে প্রচারে আসবেন।’’ বিজেপি প্রার্থীর ব্যাখ্যা, ‘‘একটা ট্যুর কোম্পানিতে ঘুরতে গেলে সেখানে সঙ্গীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আর দিলীপদার সঙ্গে এত বছর সংসার করার পর স্বাভাবিক ভাবেই মনখারাপ হবে। আমিও আসানসোল থেকে এসেছি। ওখানেও অনেকের মনখারাপ হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দল তো বড় দল। জিততে হবে আমাদের। দিলীপদার আশীর্বাদ নিয়ে এসেছি। তিনিই আমায় মহিলা মোর্চার দায়িত্ব দিয়েছিলেন।’’
সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেন অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেন, ‘‘মনখারাপ করে থাকলে হবে না। এ বারে বাংলায় নির্বাচনে বিজেপির ৪২-এ ৪২ করার মধ্যে মেদিনীপুরও থাকবে। তা হলেই ২০২৬ সালে কত সিট করব সেটা বোঝা যাবে।’’
অগ্নিমিত্রার হুঁশিয়ারির প্রেক্ষিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁচলের ছায়ায় বাংলার মানুষ সুরক্ষিত রয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার সব দিক থেকে বাংলাকে বঞ্চিত করে রেখেছে। তাই জনগর্জন করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে ধুয়ে মুছে দিয়েছেন মানুষ। এ বারেও মানুষ গর্জে উঠেছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষের আশীর্বাদ নিয়ে এসেছেন বলে দলের কর্মীদের মনে আশা দেওয়ার চেষ্টা করছেন উনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy