প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
ফের কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে বিজেডি ও বিজেপি। সূত্রের মতে দু’দলের একটি বড় অংশ ওড়িশায় জোট বেঁধে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন লড়ার পক্ষপাতী।
বিষয়টি নিয়ে এখনও সরকারি ভাবে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই। কিন্তু আজ রাতে বিজু জনতা দলের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, “আসন্ন লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতে আজ মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। আগামী ২০৩৬ সালে ওড়িশা রাজ্য গঠনের একশো বছর পূর্তি হতে চলেছে। তাই রাজ্য ও রাজ্যবাসীর উন্নতির কথা মাথায় রেখে বিজেডি সব ধরনের পদক্ষেপ করতে প্রস্তুত রয়েছে।” রাজনীতিকদের মতে, সরাসরি বিজেপির সঙ্গে হাত ধরার কথা না বলা হলেও, রাজ্যের স্বার্থে পদক্ষেপ করার কথা বলে আসলে আগামী দিনে বিজেপির সঙ্গে হাত ধরার ইঙ্গিত দিয়েছে দল। সূত্রের মতে, নবীন পট্টনায়ক ও বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা জোট করা নিয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে গত কাল ও আজ দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এক-দু’দিনের মধ্যেই নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি সূত্র।
তা ছাড়া প্রথম দফা প্রার্থী তালিকা ঘোষণার ক্ষেত্রে ওড়িশা থেকে কোনও প্রার্থীর নাম জানায়নি বিজেপি। সাধারণত যে রাজ্যগুলিতে বিজেপি জোট করে লড়ার পরিকল্পনা করেছে, সেই রাজ্যগুলি প্রথম তালিকায় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। জোট যে হতে পারে সেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল মঙ্গলবার। ওই দিন একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদ্বোধনে ওড়িশা সফরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের বক্তব্যে রাজনৈতিক ভাবে প্রতিপক্ষ মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক সম্পর্কে একটি কটূ শব্দ প্রয়োগ করেননি প্রধানমন্ত্রী। উল্টে তিনি নবীনকে তাঁর বন্ধু হিসাবে সম্বোধন করেন। পাল্টা নবীন পট্টনায়কও দেশ ও রাজ্যের উন্নতিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় সরব হন।
প্রায় এক দশকের কাছাকাছি এনডিএ-র শরিক থাকার পরে ২০০৯ সালের লোকসভা ও রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে জোট থেকে বেরিয়ে যান নবীন। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে জোটে না থাকলেও, সরাসরি এনডিএ-এর কোনও নীতি নিয়ে বিরোধিতা বা সংসদে বিরোধী শিবিরের হয়ে ভোট দিতে দেখা যায়নি নবীন শিবিরের সাংসদদের। উল্টে বিতর্কিত কোনও বিষয় হলে ভোটাভুটির সময়ে রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করে সরকার পক্ষকে বিজেডি সুবিধে করে দেয় বলে পাল্টা অভিযোগে সরব হতেন বিরোধীরা। সম্প্রতি দুই শিবির আরও কাছাকাছি আসে, যখন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে ওড়িশা থেকে রাজ্যসভার প্রতিনিধি হিসাবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি নেতৃত্ব। সে সময়ে অশ্বিনীকে সমর্থন জানায় বিজেডি। বিজেডির এনডিএ জোটে যোগদানের সম্ভাবনার জল্পনার সূত্রপাত হয়েছিল সেখান থেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy