—প্রতীকী চিত্র।
কংগ্রেস কর্মীদের প্রচার কাজে ডাকতে দলের এরিয়া কমিটিগুলিকে নির্দেশ দিলেন বাঁকুড়া জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। জেলার নানা এলাকায় সক্রিয় কংগ্রেস কর্মীদের নামের তালিকা সংগ্রহ করেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। সেই তালিকা এরিয়া কমিটিগুলিকে পাঠানো হয়েছে।
সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি বলেন, ‘‘কংগ্রেস কর্মীদের নিয়ে যৌথ ভাবে ভোটে প্রচার চালানোয় জোর দেওয়া হচ্ছে। তাই কংগ্রেসের স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে প্রচারে নামতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এরিয়া কমিটিগুলিকে।’’
ঘটনা হল, এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দু’টি কেন্দ্রেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। জেলার কংগ্রেস কর্মীরা জোট প্রার্থীদের একপ্রকার মেনে নিলেও তাঁদের একাংশের আক্ষেপ, সিপিএম ভোট প্রচারে কংগ্রেস কর্মীদের ডাকছে না।
বাঁকুড়া জেলায় তাঁদের ভোট খুব বেশি না হলেও নির্বাচনে কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে তাঁদের কাজে লাগানো জরুরি বলে দাবি করে আসছেন জেলা কংগ্রেস নেতারা। সূত্রের খবর, গত ১৪ এপ্রিল সিপিএম ও কংগ্রেসের তরফে বাঁকুড়া শহরে যৌথ ভাবে একটি মিছিল করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছিল। তবে সেই কর্মসূচি পরে বাতিল করা হয়।
জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দলের প্রতীকে প্রার্থী না থাকলেও জোট প্রার্থীকে জেতাতে কংগ্রেস কর্মীরা মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। এটা আমাদের কাছে অস্তিত্ব জানান দেওয়ার লড়াই হিসেবেই ধরা হয়েছে। কিন্তু সিপিএম একাই প্রচার চালাচ্ছে। এই সমস্যা মেটাতে দু’টি দলেরই মুখোমুখি বসার দরকার রয়েছে।’’ একই মন্তব্য করছেন বাঁকুড়া জেলা মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী তথা বাঁকুড়ার প্রাক্তন পুর-প্রতিনিধি রাধারানী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘‘প্রায় সব ব্লকেই আমাদের মহিলা সংগঠন রয়েছে। ভোট প্রচারে নামতে সবাই মুখিয়ে থাকলেও ডাক পাচ্ছেন না বলে হতাশ হচ্ছেন।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক অজিতের অবশ্য দাবি, ‘‘জোটকে আমরা বরাবরই গুরুত্ব দিই। কংগ্রেস কর্মীদের প্রচারে গুরুত্ব সহকারেই ডাকা হবে।’’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বাঁকুড়া জেলায় গত লোকসভা নির্বাচন থেকেই বাম ভোট বিজেপিমুখী হতে দেখা গিয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেরা কিছুটা ভোট ফিরে পেলেও লোকসভা নির্বাচনে কতটা দাগ কাটবে তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে।
বাঁকুড়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের কটাক্ষ, ‘‘বামেরা এখন কেবল ভোট কাটুয়ার ভূমিকায় রয়েছে। একটি ভোট সিপিএমকে দেওয়া মানেই পরোক্ষে তৃণমূলকে সুবিধা করে দেওয়া। সেটা মানুষ বোঝেন।’’ তবে তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘আমরা বাম বা রাম নিয়ে ভাবতেই নারাজ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের সুফল প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছেছে। সেটাই আমাদের লড়াইয়ের শক্তি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy