An image of BJP —প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, প্রার্থিপদ নিয়ে চর্চা বাড়ছে বিজেপিতে। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে টিকিট পাওয়ার জন্য একাধিক নেতানেত্রী দৌড়ে রয়েছেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর। দলের নিচুতলার কর্মীদের অনেকের দাবি, সেই সূত্রে চলছে কর্মসূচির প্রতিযোগিতা। বাড়ছে ‘দ্বন্দ্ব’ও। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব এমন কোনও দ্বন্দ্বের কথা মানতে চাননি। প্রার্থিপদের বিষয়টি উচ্চ নেতৃত্বের হাতে রয়েছে বলেও দাবি তাঁদের।
২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে জয়ী হন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তার পরে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তিনি তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার কাছে হেরে যান। তবে বিধায়ক অগ্নিমিত্রাকে জেলার নানা প্রান্তেই বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে দেখা যাচ্ছে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগেই আবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তবে বিজেপির নানা সূত্রের দাবি, দলের নানা অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যায় না। তবে তিনি নিজের মতো কর্মসূচি নিয়ে চলেছেন পাণ্ডবেশ্বর, জামুড়িয়া, আসানসোল, রানিগঞ্জে।
আসানসোলে জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারির উদ্যোগে আয়োজিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে সেখানে অগ্নিমিত্রাকে দেখা যায়নি। আবার, রানিগঞ্জের দামালিয়ায় অগ্নিমিত্রার নেতৃত্বে কর্মসূচিতে শুভেন্দুর উপস্থিতিতেও জিতেন্দ্রর দেখা মেলেনি। সম্প্রতি জামুড়িয়ায় অবৈধ খননের জেরে এক জনের মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনায় বিক্ষোভ দেখাতে পৌঁছন জিতেন্দ্র। তিনি এলাকা ছাড়ার খানিক পরে সেখানে যান অগ্নিমিত্রা। দলের কর্মীদের একাংশের দাবি, এ ভাবে দু’জনকেই কর্মসূচি করতে দেখা গেলেও, তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আয়োজিত হচ্ছে আলাদা ভাবে।
বিজেপি সূত্রের খবর, সম্প্রতি পাণ্ডবেশ্বরে একটি ঘটনায় দলের দ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠে। দলের কিছু কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে অন্য কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তেরা এলাকায় জিতেন্দ্রর অনুগামী হিসেবে পরিচিত বলে দাবি। ঘটনার কয়েক দিন পরে অগ্নিমিত্রা পাণ্ডবেশ্বর থানায় গিয়ে দাবি জানান, অভিযুক্তেরা যে দলেরই হোক, তাদের গ্রেফতার করতেই হবে।
গেরুয়া শিবিরের একাংশের দাবি, আসানসোলে লোকসভা উপনির্বাচনে হারের পিছনে দলের একাংশের ‘নিষ্ক্রিয়তা’, এমনকি ‘অন্তর্ঘাত’ থাকতে পারে বলে দলের অন্দরে কেউ কেউ মনে করেছিলেন। সামনে লোকসভা ভোট, এই পরিস্থিতিতে ফের প্রার্থিপদ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে শত্রুঘ্ন সিনহাকেই ফের এই কেন্দ্রে প্রার্থী করার বিষয়ে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এলাকার বিজেপি নেতা-কর্মীদের তাই কৌতুহল, দলীয় নেতৃত্ব এলাকার কোনও নেতা বা নেত্রীর উপরে ভরসা রাখবেন কি না। বাইরের কাউকে এখানে প্রার্থী করে এলাকার নেতানেত্রীদের পার্শ্ববর্তী বা রাজ্যের অন্য কেন্দ্রে টিকিট দেওয়া হয় কি না, সে দিকেও নজর তাঁদের।
জিতেন্দ্র ও অগ্নিমিত্রা প্রার্থিপদ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জিতেন্দ্রর দাবি, ‘‘অন্তর্দ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নেই। নানা কর্মসূচি আমরা এক সঙ্গেও করেছি। যে যত বেশি কর্মসূচি করতে পারবে, তাতে দিনের শেষে দলেরই তো লাভ।’’ অগ্নিমিত্রার বক্তব্য, ‘‘আমি দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। দল আমাকে যা দায়িত্ব দেয়, তা পালন করি। কারও সঙ্গে কোনও দ্বন্দ্ব নেই।’’
বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ‘‘আমাদের দল শৃঙ্খলাবদ্ধ হিসেবে পরিচিত। কাকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা উচ্চ নেতৃত্বই ঠিক করেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy