—প্রতীকী ছবি।
গত মাসেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে একটি আসনও কংগ্রেসকে ছাড়া হবে না। তিনি ‘একলা চলা’র নীতি নিয়েছেন। কিন্তু সমাজবাদী পার্টি (এসপি), আম আদমি পার্টির (আপ) সঙ্গে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করে ফেলার পরে আজ কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রে জানানো হল, পশ্চিমবঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে এখনও আলোচনা চলছে। দু’টির বেশি আসন পাওয়ার জন্য দর কষাকষি করছেন তাঁরা। গত সপ্তাহে শেষ বার কথা হয়েছে। কংগ্রেস আশাবাদী।
কিসের ভিত্তিতে দর কষাকষি? রাজনৈতিক সূত্রে খবর, অসমে অন্তত একটি এবং মেঘালয়ের তুরা আসনে কংগ্রেসের সমর্থন পেতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এখনও পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর দল তাতে ইতিবাচক সঙ্কেত দেয়নি। কিন্তু বাংলায় যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের দু’টির বেশি— চার থেকে পাঁচটি আসন ছাড়েন, তা হলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দু’টি আসনে তৃণমূলের পাশে থাকার কথা ভাবতে পারে কংগ্রেস। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও এ বিষয়ে ধোঁয়াশা রাখছেন। তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হবে না ধরে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে সিপিএম নেতারা আসন সমঝোতা নিয়ে কথা শুরু করেছিলেন। কংগ্রেস এখনও তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলছে বলে দাবি করায় সেই আলোচনার কী হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
গত কালই কংগ্রেস ও এসপি উত্তরপ্রদেশে আসন রফার ঘোষণা করেছে। অখিলেশ যাদব ২৫ ফেব্রুয়ারি আগরায় রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার সঙ্গে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ও জনসভায় যোগ দিতে চলেছেন। সব ঠিক থাকলে শুক্রবার দিল্লিতে আপ-কংগ্রেসের আসন সমঝোতাও ঘোষণা হয়ে যাবে। দিল্লির সাতটি আসনের মধ্যে কংগ্রেস তিনটি, অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল চারটি আসনে লড়বে। চণ্ডীগড় আসনে কংগ্রেসকে সমর্থন করবে আপ। বিনিময়ে কংগ্রেস হরিয়ানায় একটি, গুজরাতে দু’টি আসন ছাড়বে। গোয়ার একটি আসনে আপ প্রার্থী ঘোষণা করে দিলেও কেজরীওয়াল তা প্রত্যাহার করে নেবেন। আগামী সপ্তাহে তামিলনাড়ুতে কংগ্রেস-ডিএমকে, মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস, শরদ পওয়ার, উদ্ধব ঠাকরের দল ও বিহারে কংগ্রেস-আরজেডি-বামেদের আসন সমঝোতা ঘোষণা হয়ে যেতে পারে।
আজ আপ নেত্রী অতিশীর দাবি, বিজেপি আপ-কে হুমকি দিয়েছে যে, ‘ইন্ডিয়া’ না ছাড়লে দু’দিনে সিবিআই কেজরীওয়ালকে নোটিস ধরাবে। প্রসঙ্গত, আজ ইডি ফের কেজরীওয়ালকে নোটিস পাঠিয়েছে। অতিশী জানান, তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করলে তিন-চার দিনের মধ্যে কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক শিবির মনে করছে, ‘ইন্ডিয়া’র বাকি শরিকদের সঙ্গে যখন কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হচ্ছে, তখন তৃণমূলের উপরেও এ নিয়ে চাপ তৈরি হয়েছে। একমাত্র তৃণমূল আসন রফা না করলে বার্তা যাবে, সিবিআই-ইডির ভয়ে তারা পিছিয়ে যাচ্ছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, গত দু’দিন অসম এবং মেঘালয়ে গিয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তুরা লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের ২৮% ভোট রয়েছে। কংগ্রেসের ৯%, বিজেপির ১৩%। শাসক দল এনপিপি-র ৪০%। তৃণমূল মনে করছে, তুরায় জিততে কংগ্রেসের সমর্থন প্রয়োজন। অসমে তিন থেকে চারটি আসনে লড়ার প্রস্তুতি নিলেও অন্তত একটি আসনে কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া চাইছে তৃণমূল।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিষয়ে তৃণমূলের প্রস্তাবে কংগ্রেস রাজি হলে বিনিময়ে তৃণমূলের কাছ থেকে চার-পাঁচটি আসন বাংলায় পাওয়ার ব্যাপারে চাপ বাড়াবে। তবে ডেরেকের কথায়, “পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের জেতার মতো তৃতীয় আসন কোথায়? আমি তো দূরবীন দিয়েও দেখতে পাচ্ছি না!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy